করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Covid Second Wave) এখনও অব্যাহত ভারতে। দৈনিক সংক্রমনের হার কমলেও এখনও পুরোপুরি ভাবে এড়ানো যায়নি করোনার প্রকোপ। আস্তে আস্তে আনলক হলেও বেশীর ভাগ রাজ্যই তা শর্ত সাপেক্ষ। এই রাজ্যের মতো ভারতের অন্যান্য রাজ্যে চলছে লকডাউন।
করোনার সংক্রমণ কে কমাতে করোনা বিধি নিষেধের পথে হেঁটেছে কেরলও। বাড়ির বাইরে বেরলেই সাথে থাকতে হবে ই-পাস (e pass) । নাহলেই ধরা পড়লেই থাকবে কড়া শাস্তির দাওয়াই। সঠিক আর ইমার্জেন্সী কোনো কারণ দেখিয়ে তবেই মিলবে ই-পাসে। কিন্তু সম্প্রতি একটি ই-পাসের আবেদন দেখে চমকে উঠেছেন কেরালা রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। সেক্স করার জন্য নাকি দরকার ই-পাসের! কেরালার কান্নুরের কান্নাপুরম এলাকার জনৈক ব্যক্তি ‘সেক্স করতে চাই’ এই কারণ দেখিয়ে ই-পাসের জন্যে আবেদনে জানিয়েছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
কিন্তু সেক্স করার জন্য লাগবে ই- পাস! এরকম ধরনের আবেদন দেখতে পেয়েই অবাক হয়ে ওঠেন কেরল রাজ্যের পুলিশ অফিসাররা। তবে এমন আবেদন নিয়ে কি করা উচিৎ তা জানতে চেয়ে কান্নুরের পুলিশ শেষে কমিশনারের দ্বারস্থ হয়। আবেদন শুনে পুলিশ কমিশনার ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন তিনি। তারপরেই বালাপট্টনম থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পায়। জেরা করতে উদ্যোগী হয় তারা।
এবারই ঘটনা তে আসে আসল মোর। পুলিশের জেরার মুখে পড়ে ওই ব্যাক্তি জানান সম্পূর্ণ উল্টো কথা। তিনি বয়ান দেন ই পাসের জন্যে আবেদন করা ব্যক্তি। তিনি জানান, তিনি সেক্স করতে তার দরকার ই পাস এই রকম জাতীয় কোনো আবেদন জানাননি। এটি ঘটেছে শুধুমাত্র অটো টাইপিংয়ের জেরে। এই কারণেই নাকি ঐ ব্যাক্তি ই-পাসের আবেদনে ভুল লেখা হয়ে গিয়েছিল। ওই ব্যক্তি যুক্তি দেন যে তিনি আবেদনে লিখতে চেয়েছিলেন ‘সন্ধ্যা ৬টায়’ বা ‘সিক্স ও ক্লক’। তার বদলে অটোটাইপিং-এর জেরে ‘সিক্স’ হয়ে যায় ‘সেক্স’। তারপর অবশ্য তাঁর এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাও চান। পুলিশের তার এই বয়ান মেনেও নিয়েছে। তবে ই–পাস নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাজেহাল হন কেরালা পুলিশ। এই ঘটনা নেটদুনিয়ার সামনে আসতেই অবাক হন নেটনাগরিকরা। রীতিমত হাসির ফোয়ারাও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।