প্রেমে পড়লে মানুষ যে কত কি করতে পারে তার অন্ত নেই। প্রেম যে অনেককেই পাগল করে দেয় তা প্রেমে পাগল কথা থেকেই বোঝা যায়। মানুষ প্রেম টিকিযে রাখতে বা প্রেমিকাকে নিজের জীবনে ধরে রাখতে অনেক কিছুই করেন। আবার অনেক অদ্ভুত কান্ডও ঘটিয়ে ফেলেন অনেক সময়। কিন্তু এই প্রেম যখন পাগলামির মতো হতে থাকে তখন শুরু হয় সমস্যা। থাইল্যান্ডের এক যুবকের এরকমই সমস্যা হয়েছে।
এখন হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছেন তিনি পাগলামি করতে গিয়ে। ওই যুবক নিজের যৌনাঙ্গে তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন (Man sealed his private parts with padlock) প্রেমিকাকে প্রেমের প্রমাণ দিতে। বলা বাহুল্য বিষয়টা, যে হিতে বিপরীত হয়েছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে। যৌনাঙ্গ ফুলে যায় ৪৮ ঘণ্টা পরও তালা না খুললে। ওই যুবক যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, ঝগড়া হওয়ার পর ওই যুবকের গার্লফ্রেন্ড দুই দিন আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এরপরই যুবক প্রেমিকার প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁর যৌনাঙ্গ ‘লক’ করে। বোঝাতে চাইছিলেন যে অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হবেন না তিনি। দুর্ভাগ্যবশত, বিপরীত ফল হয় আনুগত্য প্রমাণ চেষ্টা করতে গিয়ে। যন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় যুবকের যৌনাঙ্গ ফুলে গিয়ে। বিষয়টি প্রথম বুঝতে পারেন যুবকের মা। তিনি ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পান যে ছেলে যন্ত্রণায় কান্নাকাটি করছে। উদ্বিগ্ন মা ছেলের কাছে এর পর সব জানতে চান। মহিলা স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য চান ছেলে সব খুলে বললে। তালা কেটে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবকরা, তবে সফল হননি। পরে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যান চাবি দিয়ে তালা খুলে। আপাতত সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে ওই যুবক।
যুবকের মা জানিয়েছেন যে আচার-আচরণ ভালো তাঁর ছেলের। প্রায়শই নানা কাজে তাঁকে সাহায্য করে সে। ওই যুবকের মা বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্য দিতে গিয়ে বলেন, “আগের দিন আমার বাড়িতে এসেছিল ছেলের বান্ধবী। সে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছিল পড়াশোনার জন্য। এতে আমার ছেলের মন খারাপ হয়ে যায়। প্রেমিকার সামনেই সে নিজের গোপনাঙ্গে তালা লাগিয়ে দেয় প্রেমের প্রমাণ দিতে।’’