স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভীষণ পবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু কখনো কখনো নানা কারণে স্বামী বা স্ত্রী নানা কারণে নিজের জীবন সঙ্গীকে লুকিয়ে অন্য কারোর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কারণে দাম্পত্যে আসে নানা জটিলতা। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ তো হয়ই, পাশপাশি অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ সম্পর্ক ডেকে আনে মর্মান্তিক পরিনতি পর্যন্ত। যেমন এই ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক চলছিল দীর্ঘ আট বছর। কিন্তু স্বামী জানার সাথে সাথেই ঘটলো ভয়ঙ্কর ঘটনা।
উত্তরপ্রদেশে মির্জাপুরে এটিএম ইঞ্জিনিয়ার হত্যা রহস্য কান্ড ফাঁস করেছে পুলিশ। এ ছাড়া হত্যা মামলায় জড়িত ২ আসামিকেও গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর সঙ্গে এক অন্য এক পুরুষের প্রায় আট বছর ধরে পরকীয়া চলছিল। বিষয়টি স্বামী জানতে পেরে গেলে স্ত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে মিলে পথের কাঁটা সরিয়ে দেন। স্বামীকে হত্যা করেন। অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিকা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, ২৫ শে মার্চ মাদিহান থানা এলাকার পাতেহরা খালের কাছে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের তদন্তে যুবকের নাম জানা যায় শনিলেশ সিং (বয়স ৩৮ বছর), তিনি বালিয়ার বাসিন্দা। নিহতের ভাই মিথলেশ দাদার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে মাদিহান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এরপরই এই হত্যা রহস্য উদঘাটনের জন্য দুটি টিম গঠন করেন মির্জাপুর এসপি।
স্ত্রীর প্রেমিকসহ ২ আসামি গ্রেফতার
তদন্ত, প্রমাণ এবং তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ তহসিল তিরাহা মোড় থেকে বিশাল রাই এবং লাভকুশ ভার্মাকে গ্রেপ্তার করতে সফল হয়েছে। আর আসামিদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ব্যাবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
প্রেমিকসহ স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী
এই তদন্তকারী পুলিশের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারকৃত দুই আসামির মধ্যে বিশালের গত ৮ বছর ধরে মৃত ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া চলছিল। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ার শনিলেশ সিং কিছুদিন আগে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে। স্বামী তার অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছে বুঝে বিপদের আশঙ্কায় স্ত্রী তার প্রেমিকের সাথে স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে এবং প্রেমে অন্ধ প্রেমিক তার বন্ধুর সাথে মিলে এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে।