বিয়ের দিন পাত্তা নেই বরের। খোঁজ.. খোঁজ.. খোঁজ… কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়ের বাড়ির লোক পুলিশ সমেতই হাজির হলেন পাত্রের বাড়িতে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়িতে। মেয়ের বাড়ির লোক অভিযোগ করেছে পণ দিতে না চাওয়ায় বিয়ের দিন ছেলের বাড়ির লোকই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে বর কে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানা এলাকার বাঘাযতীন কলোনির বাসিন্দা সুদীপ চ্যাটার্জির মেয়ের সাথে বিয়ের সম্বন্ধ ঠিক হয়েছিল এনজেপি থানার অন্তর্গত ভক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা পরিমল গোস্বামীর ছেলে প্রসেনজিৎ গোস্বামীর। ছেলে ও মেয়ে দুই বাড়ির সম্মতিতেই নির্দিষ্ট করা হয় বিয়ের দিন। ছেলে ও মেয়ে দুজনেই খুশিমনে সম্মতি দিয়েছিল এই বিয়েতে। এরপরে যখন সব ঠিক, ক্যামেরাম্যান দিয়ে ছেলে ও মেয়ে প্রি ওয়েডিং ফটোশুট শেষ, তখন আচমকাই বিয়ের দিন ছেলেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মেয়ের বাড়ির লোককে জানায় ছেলের বাড়ির লোক। কোন উপায় না পেয়ে মেয়ের বাড়ির লোক দ্বারস্থ হয় পুলিশের। প্রধানগর থানায় অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের টিমকে নিয়ে পৌঁছয় ছেলের বাড়ী। ছেলে কোথায় এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক তর্ক হয়।
পাত্রীর বাবার কথায় বিয়ের যখন সব প্রস্তুতি সারা, তখন বিয়ের দুদিন আগে জানানো হয়েছে ছেলে নাকি বেপাত্তা! তাদের সন্দেহ ছেলেটিকে তার বাড়ির লোকই কোথাও গোপনে লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু কেন কেউ এরকম করবে? পাত্রীপক্ষের দাবি পণ চাওয়া হয়েছিল কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। এই কারণেই হয়ত এমনটা ঘটেছে। পাত্রীপক্ষ জানিয়েছে ছেলের বাড়ি যদি এই ঘটনা সমাধান না করে তাহলে আইনের পথে হাঁটবেন তারা। পাত্রপক্ষ অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এলাকার লোকজন জানায় বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল, মাঝে মাঝে তাদের দুজনকে ঘুরতে দেখা যেত, প্রি-ওয়েডিং শুটও করেন। এরপর শুনছি যে পাত্রের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর (যিনি বর্তমান কাউন্সিলারের স্বামী) জানিয়েছেন তাকে পাত্রের বাড়ির লোক জানিয়েছে ছেলের খোঁজ পাচ্ছে না। তিনি বলেন “আমরা অনুরোধ করেছি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে। যদি তা না হয় মেয়ের বাড়ির লোক আইনের প্রশাসনের সাহায্য নেবে।”