ভাগ্যলক্ষী কখন কার প্রতি সহায় হয় সেই কথা বলা মুশকিল। অনেক সময় মানুষ হঠাৎ করেই ধন-সম্পদ লাভ করে, যা দেখে অবাক হতে হয়। ১৫ বছরের এক ছেলের সাথেও তেমনই কিছু ঘটেছে। কিন্তু রাতারাতি এত টাকার মালিক হয়েও সেই টাকা সে নিজে দাবি না করে খোঁজ করে টাকার মালিকের।
নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া এক যুবকের হাতে হঠাৎ ‘গুপ্তধন’ আসে। কিন্তু ‘গুপ্তধন’ নিজের কাছে না রেখে তিনি তা তার সঠিক মালিককে ফিরিয়ে দেন। তিনি ‘দাবীবিহীন’ ভল্টে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাও নিজে না রেখে সেটি তার আসল অধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ায় মানুষ যুবকের সততার প্রশংসা করছে।
এই ঘটনাটি ইংল্যান্ডের, যেখানে ১৫ বছর বয়সী জর্জ টিন্ডেল তার ৫২ বছর বয়সী বাবা কেভিনের সাথে উইথাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাছ ধরার ছিপের পাশাপাশি তার কাছে ম্যাগনেটিক ফিশারও রয়েছে। অর্থাৎ নদীতে চুম্বক বসিয়ে ভেতর থেকে ‘রহস্যময় জিনিস’ বের করে আনেন। জর্জ গত সপ্তাহে একই কাজ করছিলেন, যখন তিনি হঠাৎ একটি বক্স পেয়েছিলেন।
‘ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্জ চুম্বকটি নদীতে ছুঁড়ে মারার সঙ্গে সঙ্গেই একটি বক্স তাতে আটকে যায়। জর্জ যখন সেই জিনিসটি জল থেকে বের করে আনলেন, তখন তিনি অবাক হয়ে গেলেন, কারণ সেটি নগদ টাকায় পূর্ণ ছিল। গণনা করে দেখা গেছে এই নগদ এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকার বেশি। ভল্টের ভিতরে একটি বন্দুক সার্টিফিকেট এবং ব্যাঙ্ক কার্ডও পাওয়া গেছে, যেটির মেয়াদ ২০০৪ সালে শেষ হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট এবং কার্ডটি রব এভারেট নামে এক ব্যবসায়ীর।
এটা জানতে পেরে জর্জ এবং তার বাবা কেভিন টাকাটা তাদের কাছে না রেখে আসল মালিকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যখন রব এভারেটের সাথে যোগাযোগ করেন, তখন তিনি জানতে পারেন যে ২০০০ সালে তার অফিসে একটি চুরি হয়েছিল এবং সেখান থেকে এই বক্সটি উধাও হয়ে গেছে। ২২ বছর পর তার জিনিসপত্র পেয়ে রব অত্যন্ত খুশি। তিনি জর্জ এবং কেভিনের সততার প্রশংসা করেন এবং তাদের সাহায্য করার প্রস্তাব দেন।