রোজকার মতন নিজের সাইকেল নিয়ে পুরোহিত যাচ্ছিলেন যজমানের বাড়ি। কিন্তু রেলগেট পেরোনোর সময় আচমকাই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। শান্তিপুর লোকালে ধাক্কা খেয়ে সোদপুর এর ৮ নম্বর রেলগেট এর কাছে ছিটকে পড়ে যান তিনি। ভয়ংকরভাবে আহত হন তিনি। জখম অবস্থায় পড়ে ছিলেন প্রায় এক ঘন্টা। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না তার। কিন্তু এক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও রেলের কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি। আর এই কারণে ভীষণভাবে জখম হলেও তাকে তুলে হসপিটালে নিয়ে যান নি খড়দহ থানার পুলিশও। এই দুই এর মাঝখানে রক্তক্ষরণ হয় এক ঘন্টা জখম অবস্থায় পড়ে থাকে অবশেষে প্রাণ হারান ওই পুরোহিত।
মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে। মৃত পুরোহিতের নাম উৎপল চক্রবর্তী। তিনি ওই অঞ্চলে নিত্যপুজো করে পেশা নির্বাহ করেন। রোজকার মতন আজও বেরিয়েছিলেন যজমানের বাড়ি পুজো করতে। কিন্তু সেই পুজো পুজো তার আর দেওয়া হলো না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন রেল গেট পড়ে থাকা অবস্থাতেই পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন উৎপল বাবু আর তখনই সজোরে ধাক্কা মারে শান্তিপুর লোকাল। ছিটকে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা জানান, সোদপুর বঙ্কিমপল্লী বাসিন্দা উৎপল চক্রবর্তী। তাদের অভিযোগ যদি রেল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উৎপল বাবু কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করত তাহলে তিনি প্রাণে বেঁচে যেতেন। রেলের চরম উদাসীনতা ঘিরে অভিযোগ জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ট্রেনের ধাক্কা খেয়েও বেশ কিছুক্ষণ জীবিত ছিলেন উৎপলবাবু। তবে অতিরিক্ত পরিমানে রক্তপাত হচ্ছিল তাঁর।
এই দুর্ঘটনার খবর সোদপুরে রেল পুলিশের কাছে পৌঁছালেও তারা আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। খড়দহ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কিন্তু তারা হস্তক্ষেপ করতে পারছিল না যেহেতু এটা রেল পুলিশের আওতাধীন। রেল পুলিশ এসে পৌঁছলে সোযদপুর রেল পুলিশ আর খড়দহ থানার পুলিশ এই দু’পক্ষের মধ্যে তর্ক বেধেছিল বলে অভিযোগ। ততক্ষনে ভয়ঙ্কর ভাবে রক্তপাত হয়ে গেছিল পুরোহিত উৎপলবাবুর। অবশেষে তাকে উদ্ধার করে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।