কোভিডের রিপোর্ট ভুল এসেছে বলে নাজেহাল হতে হল একজনের। তিনি ১৪ দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকলেন এমনকি ওষুধও খেলেন কোভিডের কিন্তু তিনি আসলে কোভিড নেগেটিভ, তার এই ভুল রিপোর্ট এসেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন অভিযোগ পেয়েছে পরে ডায়গনস্টিক সেন্টার নিজেদের ভুল শুধরে নিলেও। আর কমিশনের তা দেখেশুনে রায়, ফেরত দিতে হবে করোনা পরীক্ষার খরচ। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অভিযোগকারী রাজিন্দর সিংকে দক্ষিণ শহরতলির আনোয়ার শাহ রোডের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারকে।
কিন্তু এত বড় ভুল কেন? যে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই কোভিড কালে এই মুহূর্তে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে আমজনতাকে, কেন এতটা অসচেতনতা সেখানে? জানা যাচ্ছে, আসলে নাম বিভ্রাট এহেন ভুল রিপোর্ট দেওয়ার নেপথ্যে। অ্যাপোলো ডায়গনস্টিক সেন্টারে জুবিলি পার্ক এলাকার বাসিন্দা রাজিন্দর সিং গত ২৭ ডিসেম্বর কোভিড (COVID-19) টেস্ট করাতে এসেছিলেন।
ডায়গনস্টিক সেন্টারে ওই একই দিনে পরীক্ষা করান জনৈক রাজেন্দ্র সিং। লালারসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজিন্দর সিং নেগেটিভ, আর রাজেন্দ্র সিং কোভিড পজিটিভ। কিন্তু ভুলবশত পজিটিভ রিপোর্ট দেয় ডায়গনস্টিক সেন্টার রাজিন্দরকে।
রাজিন্দর সিংয়ের বক্তব্য, এই কারণে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাকে আর সাথে ব্যবসায়িক ক্ষতিও হয়েছে অনেকটাই। কমিশন ডায়গনস্টিক সেন্টারকে নির্দেশ দিয়েছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অভিযোগ বিচার করে। ডায়গনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ যা বলেছে তা হল , ভুল বুঝতে পেরে দ্রুত তা শুধরে নেওয়া হয়। রাজিন্দরকে অ্যাপোলো ক্লিনিকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি নেগেটিভই। বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ঘটনাটি মজার, কমেডি অফ এরর যেন! কিন্তু একটা ভুল হয়েইছিল। তাই ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছি আমরা।’’ আইসিএমআর পোর্টালে সঠিক রিপোর্টই আপলোড করেছিল তারা ডায়গনস্টিক সেন্টারের দাবি, রিপোর্ট ভুল দিলেও।