সঙ্গীর সাথে বিবাদ থাকা একটি বেশ স্বাভাবিক বিষয় এবং এই পরিস্থিতিতে, বেশিরভাগ মানুষের এগো আগে কাজ করে। এমনকি প্রায়শই শারীরিক সম্পর্ককেও গুরুত্ব দেয় না। মানুষ সঙ্গীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু একবার ভাবুন তো, যদি প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়ার বিষয় হয় হাতের নখের দৈর্ঘ্য! নখ ছোট হওয়ার কারণে কেউ যদি তার সঙ্গীকে যৌনতার জন্য না করে দেয় তাহলে বিষয়টা কতটা অদ্ভুত হবে। কিন্তু এমনটাই ঘটেছে! রিলেশনশিপ পোর্টালে একজন মহিলা তার জীবনের এমনই একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন।
মহিলা জানিয়েছেন, ‘আমার বয়স ২৮ বছর এবং আমার সঙ্গী আমার থেকে এক বছরের ছোট। আমরা তিন বছর ধরে একসাথে লিভ ইন করছি। কিন্তু সে তাও সবসময় আমার চেহারার সমালোচনা করে। যখনই আমরা কোথাও বাইরে যাই, সে আমার হাত ধরতে চায় না যদি না তার মনে হয় আমায় দেখতে সুন্দর লাগছে।
মহিলা আরও বলেন, ‘এমনকি আমার জন্মদিনেও তিনি আমার সমস্ত ইশারা ও উপেক্ষা করছিল। উল্টে আমার জন্মদিনে ও আমায় আমার নখের পরিচর্যার এবং আইশ্যাডোর একটা ভাউচার গিফট করেছিল। আমি একজন নার্স এবং আমার পেশার কারণে আমি আমার নখ বাড়াতে পারি না।’
মহিলা তাঁর এক রাতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে জানিয়েছেন ‘এক রাতে আমি তার সাথে বিছানায় ছিলাম। আমি তাকে আদর করে জড়িয়ে ধরলাম। কিন্তু সে হঠাৎ আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তুমি ওই ভাউচার ব্যবহার করনি কেন?’ যখন আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম যে আমি এটা করতে পারব না এবং তার আমাকে এই সমস্ত বাহ্যিক বিষয় ছাড়াই ভালবাসতে হবে, তখন সে আমার কথা নিয়ে মজা করতে শুরু করে এবং ঘুমিয়ে পড়ে।’ ও একবার আমাকে বলেছিলেন যে আমি যদি আমার চেহারার যত্ন নিই তবে ও আমার সাথে আরও ভাল আচরণ করবেন। ওর কথাগুলো আমাকে ভীষণ হতাশ করেছে।
পুরো বিষয়টি জানার পর ওই মহিলাকে অনেক নেট নাগরিকরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সম্পর্ক বিষয়ে। কেউ কেউ বলেন, ‘ হয়ত আপনার এখন ঘুম থেকে জেগে ওঠা উচিৎ। আরেক জন বলেন আপনার প্রেমিকের কথায় ঘৃণা, অহংকার এবং নিয়ন্ত্রণ প্রতিফলিত হয়। আপনি কে তাতে তিনি আগ্রহী নন। তিনি শুধুমাত্র আপনার চেহারাকেই অগ্রাধিকার দেয়। কাউকে ভালোবাসার কোনো শর্ত নেই। আপনার জীবন ধ্বংস হয়ত আগে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।