রাজস্থানের চিতোরগড় জেলায় মৃত ঘোষণা করা এক ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছে। জীবিত অবস্থায় ওই ব্যক্তি ফেরার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় চার দিন আগে পাওয়া মৃতদেহটি পুলিশের নিকট ধরা পড়া এক ব্যক্তির বলে শনাক্ত করা হয়ে গিয়েছিল, এমনকি সম্পন্ন হয়েছিল শেষকৃত্যও। আর এই ব্যক্তিকে গ্রামবাসীরা আফিম চুরির সন্দেহে ধরে পুলিশেরে হাতে তুলে দেন। পুলিশ তার নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে তারা হতবাক হয়ে যান। কেননা সে যার পরিচয় দিচ্ছে তার মৃতদেহ কদিন আগেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিশেষ বিষয় হল, পোশাকের ভিত্তিতে মৃতদেহটিকে শনাক্ত করেছিল ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। এখন নতুন করে তদন্ত করা পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসপি বুধরাজ ট্যাঙ্ক বলেছেন যে ১৯শে মার্চ, ভাদেসরের কাছে রিথৌলি মোড়ে একটি বাইকের কাছে পাওয়া মৃতদেহটিকে তার পরিবারের সদস্যরা ধোরিয়ার বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী রবীন্দ্র সিং হিসাবে সনাক্ত করেছিলেন। আসলে উদ্ধার করা মৃতদেহটির মুখমন্ডল এক্কেবারে থেঁতলে গিয়েছিল, তাই পোশাক দেখেই শনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে পাওয়া বাইকটি রবীন্দ্র সিংয়ের নামে রেজিস্টার্ড এবং তার আধার কার্ডেও রবীন্দ্র সিংয়ের নামও লেখা ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছিল।
এরপর হঠাৎই এই গল্পে টুইস্ট আসে। ভাদেসরের ধারোল গ্রামে বাইকে করে ঘোরাফেরা করা এক ব্যক্তিকে আফিম চুরির সন্দেহে গ্রামবাসীরা ধরে মারধর করে পুলিশের হাতে প্রদান করে। তখন তার সঙ্গীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ভাদেসর পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করার সময়, তিনি নিজেকে সাতপুরার বাসিন্দা রবীন্দ্র সিং বলে পরিচয় দেন। এরপর থানার কর্মীরা এসপি প্রীতি জৈনকে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেন। এসপি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন ডিএসপি বুধরাজ ট্যাঙ্ককে।
পুলিশ আবারও মৃতের স্বজনদের চিতোরগড়ে ডেকেছে। পুলিশ যাকে মৃত বলে মেনে নিয়েছিল সে এখনো জীবিত। এখন পুলিশ ধারণা করছে, নিহত ব্যক্তিকে কোনো উদ্দেশ্যে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের কাছে যে বাইকটি পাওয়া গেছে তাতে ঘষার চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহের মুখও চূর্ণবিচূর্ণ করা হয়েছিল। কোনভাবে মৃতের পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।