শোলে ছবির সেই কালজয়ী দৃশ্যের কথা নিশ্চয় মনে আছে। যেখানে বীরুর চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র রামপুর গ্রামের সব থেকে উঁচু জলের ট্যাঙ্কে উঠে বসন্তিকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আর তার প্রস্তাবে বসন্তির মাসী রাজী না হলে ট্যাঙ্ক থেকে ঝাঁপ মারার হুমকিও দেয়। শোলে সিনেমা তে অবশ্য বীরুর প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়।
শোলে সিনেমার অনুকরণে কিনা জানা নেই তবে কিছুটা এমনই এক ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশে। এক যুবক উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে এক মোবাইল টাওয়ারে উঠে চড়ে বসলেন। দাবী? তিনি এক যুবতীকে বিয়ে করতে চান। শুধু তাই নয় আরও কিছু দাবি জানালেন সেই যুবক। উচু থেকে দাড়িয়ে তিনি বলেন ওই যুবতীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিতে হবে। নাহলে তিনি নেবেন চরম পথ। এমনকি ওই মোবাইল টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকিও দিতে থাকেন তার দাবি মানা না হলে। জমে যায় লোকজনের ভীড়। সকলের বারংবার বুঝানোর পরেও টলানো যায়নি ওই যুবক কে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশও। তারপর তাকে চেষ্টা করে বুঝিয়েসুঝিয়ে নামানো হয় ওই সেই মোবাইল টাওয়ার থেকে।
জানা গিয়েছে পেশায় ওই যুবক এক ঠেলাওয়ালা। ঘুরে ঘুরে বিক্রী বাট্টা করার ব্যাবসা তার। প্রেমে পড়েন এক যুবতীর। ভালোবেসে তাঁকে বিয়ে করে ঘর বাঁধার প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু বি টেক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা সেই যুবতী যুবকের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। প্রত্যাখ্যাত হয়ে অবশেষে সিনেমার ঢংয়েই মোবাইলের টাওয়ারে উঠে পড়েন ওই যুবক।
এদিকে এই খবর হাওয়ার বেগে ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। মুহূর্তে টাওয়ার এর নিচে লোকজনের ভীড় হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশের কাছেও। তারাও এসে পৌঁছয়। প্রথমে কিছুতেই রাজি ছিল না ওই যুবক টাওয়ার থেকে নেমে পড়তে। তার দাবিতে সে অনড়। আনতে হবেই ওই যুবতীকে। সেখানে উপস্থিত পুলিশ অবশেষে যুবককে কথা দেন যে তার পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গেই তাঁর বিয়ে দেওয়া হবে। সেই শুনে টাওয়ার থেকে অবশেষে নামতে রাজি হন যুবক। নামতেই যুবককে নিজের হেফাজতে নিয়ে নেয় পুলিশ। এদিকে যুবকের এই জাতীয় কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট বিরক্ত তার বাবাও। তিনি নিজেই ছেলের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা করার জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়।