দুপুর আড়াইটার দিকে ভিকারাবাদ পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি আপৎকালীন ফোন আসে। ইমারজেন্সি নাম্বার ১০০ ডায়াল করে কেউ ফোন করেছে। পুলিশ ফোন ধরে। ওপার থেকে মধু নামের এক যুবকের কণ্ঠস্বর ভেসে আসে- ‘আমার সাহায্য দরকার’। পুলিশ জিজ্ঞেস করে- কি হয়েছে? যুবক বলে- সে ফোনে বলতে পারবে না। পুলিশকে তার বাড়িতে আসতে হবে।মধু তার বাড়ির ঠিকানা জেনে নিয়ে ফোন রেখে দেয়। যুবকের এহেন কথা শুনে পুলিশ ভাবে যে সে নিশ্চয় কিছু আপৎকালীন সমস্যায় পড়েছে। তৎক্ষণাৎ মধুর উল্লেখিত ঠিকানায় টহলরত কনস্টেবলদের পাঠানো হয়।
মধু পুলিশকে জানিয়েছিল, তিনি ভিকারাবাদ শহরের দৌলতাবাদ এলাকায় থাকেন। টহলরত উল্লেখিত ঠিকানায় পৌঁছে তার কি বিপদ হয়েছে জানতে চাইলে তারা হতবাক হয়ে যায়। ডেকান ক্রনিকলের রিপোর্ট অনুসারে, মধু তার বাড়িতে উপস্থিত কনস্টেবলদের নিজের বিপদ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘দৌলতাবাদে সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রয়েছে। তাই দুটো ঠান্ডা বিয়ারের বোতল নিয়ে আসতে হবে তাদের।’ মধুর কথা শুনে কনস্টেবলরা অবাক! এ কি ধরনের মজা? এরপরেই প্রাথমিক হতভম্ব অবস্থা কাটিয়ে তারা তাঁকে আপৎকালীন নাম্বারে ফোন করে এমন মজা করার জন্য দু’ঘা লাগিয়ে দেয়। এরপরে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধু এই সমস্ত ঘটনা ঘটার আগে থেকেই মাতাল ছিলেন।
অবশ্য এই ঘটনা প্রথম নয় যখন কেউ এভাবে ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে হয়রানি করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসেই, তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা নবীনও ছয়বার ১০০ নম্বরে পুলিশকে ফোন করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি জরুরি অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ তার বাড়িতে পৌঁছলে সে জানায় যে তার স্ত্রী তার জন্য মাটন কারি বানাচ্ছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ঘটনায় নবীনও আগে থেকেই মাতাল ছিলেন। তেলঙ্গানা টুডে অনুসারে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে এবং তাকে হেফাজতে নেয় এবং পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।