ব্রিটেনের একজন শেফ তার ফ্ল্যাটে বসবাসের সময় ১০০ বারেরও বেশি মাকড়সার কামড় খেয়েছে বলে দাবি করার পরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মাকড়সার কামড় ব্রিটেনে অস্বাভাবিক কিছু নয়, তবে রাসেল ডেভিস নিজের যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তা একটি ভয়াবহ গল্পের চেয়ে কম নয়। ৫৫ বছর বয়সী লোকটি নিজের এক ছবিতে দেখিয়েছে কিভাবে তার সারা শরীরে মাকড়সার কামড়ের চিহ্ন রয়েছে। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল তিনি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের ফ্ল্যাটে মাকড়সার সঙ্গে বসবাস করছেন। রাসেল যখনই বাড়িওয়ালাকে তার সমস্যার কথা বলেন, তিনি তা মানতে অস্বীকার করেন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসেল ডেভিস ক্লারিওন হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন। বিবিসির সূত্র অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেছেন ‘মাকড়সার কামড়ে আমি এখনও যন্ত্রণায় ভুগছি। মনে হচ্ছে আমার শরীরের প্রতিটি অংশে কাঁচের টুকরো বিঁধে গিয়েছে যেখানে যেখানে আমাকে কামড় দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে ব্যাথায় কাঁপতে থাকি। ক্লারিওন হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন এই বলে নিজেদের দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছে যে মাকড়সার উপদ্রব মোকাবেলা করার দায়িত্ব নাকি ডেভিসের নিজের। ডেভিস জানিয়েছেন যে তিনি ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তাঁবুতে বসবাস করছেন।
ডেভিস বলেন, ‘আমি প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে তাঁবুতে ঘুমাচ্ছি। দিনের বেলা, আমি মাকড়সা খুঁজে সেগুলি নিকেশ করার চেষ্টা করি। সারাদিন আমার মন থাকে এই কামড়ানো মাকড়সার দিকে। আমি এভাবে বাঁচতে চাই না। ৫৫ বছর বয়সী রাসেল ডেভিস ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এই অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করেন। কয়েকদিন পর রাসেল সারা শরীরে কামড়ের চিহ্ন দেখতে পায়। তিনি বলেছিলেন যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশে মাকড়সা দেখতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু কেউ তার কথায় কর্ণপাত করেনি।
ডেভিস বলেন, সম্পত্তির মালিক হলওয়ে পরিষ্কার করেছেন, কিন্তু ফ্ল্যাটের ভেতরটা পরিষ্কার করতে অস্বীকার করেছেন। ক্ল্যারিয়নের একজন মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বলেছেন, ‘আমরা স্বীকার করি যে কীটপতঙ্গ মানুষের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে এবং আমরা এটা জেনে দুঃখিত যে ডেভিস বর্তমানে এতে ভুগছেন। তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে তাদের ভাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মাকড়সার উপদ্রব মোকাবেলা করা তাদের দায়িত্ব।