বিয়ের অনুষ্ঠানে হওয়া এক অনভিপ্রেত ঘটনা পাল্টে দিল কনের জীবন। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের ঝাংগা থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গ্রামে বরযাত্রী রওনা দেওয়ার আগে রীতি মেনে হওয়া এক অনুষ্ঠান চলাকালীন কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। সামান্য এক বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হতে হতে ঝামেলা এত বড় আকার নিয়ে নেয় যে বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যেই গ্রামের এক যুবক সঙ্গম যাদবকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার অভিযোগ বরের পরিবারের সদস্য, তার মামা ও ছেলের বিরুদ্ধে ওঠে। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর সমস্ত এলাকায় তৈরী হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ।
কি ঘটেছিল। সূত্রে খবর এক সপ্তাহ আগে ওই গ্রামের সুভাষ চৌহানের ছেলে ইন্দল চৌহানের তিলক অনুষ্ঠান হয়। সঙ্গমও তিলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। খাবার খেয়ে হাত ধোয়ার সময় বরের মামীর গায়ে কোনোভাবে জল পড়ে যায়। যা নিয়ে মামার ঝগড়া হয় সঙ্গমের সাথে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় যখন ইন্দল চৌহানের বিয়ের শোভাযাত্রা খাজনীর উনওয়ালে যাচ্ছিল বরযাত্রীদের মধ্যে সঙ্গমও ছিল। এ সময় আগে হয়ে যাওয়া ঝামেলার জেরে পাত্র ইন্দল চৌহানের মামা, তার ছেলে ও অন্যরা সঙ্গমকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এক বছর আগে বিয়ে করেন সঙ্গম যাদব। খুনের মত ঘটনা ঘটলেও বরযাত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যায়। কিন্তু মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বর সহ নয়জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বর ইন্দল চৌহান কে আটক করে। এই সব দেখে বিয়ে করতে বেকে বসেন কনে।
অভিযুক্ত বরের বাবা সুভাষ চৌহান, তার বোন সন্ধ্যা, নিশা, মা ভগবন্ত, মামা রামকুমার চৌহান, শ্যাম সুন্দর, বসন্ত এবং মতিলালকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে হত্যা ও মারধরের মামলা রুজু করেছে।
এই ঘটনায় গোরখপুরের এসএসপি ডক্টর ভিপিন টাডা জানিয়েছেন, ঝাংগা থানা এলাকার একটি গ্রামে বিয়ের বরযাত্রী যাচ্ছিল। সেই সময় কোনো দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। যেখানে মারধরের জেরে মৃত্যু হয়ে যায় গ্রামের এক যুবকের। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উভয় পক্ষ মারামারি থামিয়ে দেয়। গুরুতর জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।