পাঞ্জাবের অমৃতসরের তারন তারান রোডে একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে এক ভয়াবহ হামলার দৃশ্য। একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে যে এক ব্যক্তি দুই মহিলা, আর এক প্রৌঢ় কে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করেছে। জানা গেছে ওই আক্রমণকারী ব্যাক্তি আর কেউ না তাদের জামাই। ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্বশুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। পুরো ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ হাতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদিও পলাতক রয়েছে।
হামলার ভিডিও ফুটেজে দুই নারী ও দুই পুরুষকে দেখা যাচ্ছে। নির্যাতিতা মহিলা এবং তার মা এগিয়ে আছেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার শ্বশুরের সাথে পিছনে হাঁটতে দেখা যায়। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। এরপর শার্টের ভেতর লুকিয়ে রাখা ধারালো অস্ত্রটি বের করে প্রথমে শ্বশুর, শাশুড়ি ও পরে স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির আক্রমণে তার স্ত্রী প্রথম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর একাধিকবার স্ত্রীর ওপর হামলা চালায়। যার কারণে সে আহত হয়। মেয়েকে বাঁচাতে বাবা এগিয়ে এলে অভিযুক্ত ব্যক্তি আবারও তার ওপর হামলা চালায়। পরে সে মাটিতে পড়ে যায়। অভিযুক্ত ব্যক্তি তার শাশুড়ির উপরও বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বাইক আরোহীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেন শাশুড়ি। কিন্তু সেই বাইক আরোহীও নীরব দর্শক হয়ে থাকেন।
এক মিনিটেরও বেশি সময়ের এই ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তির মাথায় রক্ত উঠে গেছে সে এতটাই উন্মত্ত। এবং সে আগে থেকেই যেন হামলার জন্য তৈরি হয়েই এসেছিল। হামলার পর অভিযুক্ত ব্যক্তি তার হাতের ধারালো অস্ত্র নিয়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই সময়, তার আক্রমণের কারণে আহতদের নিজেদের জীবন বাঁচাতে এবং সাহায্যের জন্য পথচলতি মানুষের কাছে অনুরোধ করতে দেখা যায়। গোটা ঘটনাটি ঘটেছে অমৃতসরের তারন তারান রোডের একটি রাস্তায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে আক্রমণকারী ব্যাক্তির নাম নবদীপ। তার স্ত্রী সিমরানের মতে, তিনি তার স্বামী নবদীপের থেকে আলাদা থাকেন। নবদীপ মাদক সেবন করেন। এদিকে তার বোন দুই মাস ধরে নিখোঁজ। যে ব্যক্তি তাকে অপহরণ করেছে তার নামও পুলিশের কাছে জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।
সিমরানের বক্তব্য অনুযায়ী হঠাৎই তার স্বামী তাদের বাড়ি এসে দাবী করে তার বোনের অপহরণকারীদের সাথে মিটমাট করে নিতে। কিন্তু স্বামীর এই কথা মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না সিমরান এবং তার বাবা-মা। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যেই তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। তারপরেই হঠাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ওই ব্যক্তি নবদীপ। সিমরন ও তার পরিবারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এখনও তাকে হুমকি দিচ্ছেন নবদীপ, জানান সিমরান।
একই সময়ে, পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, নবদীপের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত নবদীপ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।