ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে বরবেশে বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত হয়েছিলেন বর। বিয়ের আয়োজন হয়েছে ভরপুর। অতিথি অভ্যাগতরাও উপস্থিত। কিন্তু হঠাৎ করে বিয়ের বাড়িতে হাজির হলেন যারা তাদের অপেক্ষা কেউই করছিল না। পুলিশ! হ্যাঁ হঠাৎই ‘অনাহূত’ অতিথির মতন পুলিশ এসে হাজির হলো বিয়ের আসরে। বিয়ে করতে এসে শেষ অবধি হাজতে গিয়ে পৌঁছতে হলো বর বাবাজীবন কে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল এলাকার এক বিয়ে বাড়ি থেকে আটক করা হয় পাত্র কে। পুলিশের হাতে আটক হয় যুবকের নাম বিশ্বনাথ বিশ্বাস। শক্তিগড় থানার অন্তর্গত বড়শুলের কুমিরখোলার বাসিন্দা ওই যুবক।
আরো জানা গেছে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বর্ধমান থানার পুলিশ বিয়ে করতে আসা ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে পেশ করেছে। কিন্তু কি তার অপরাধ? কেন তাঁকে বিয়ে করতে এসে পৌঁছতে হলো শ্রীঘরে। জানুন বিশদে…
বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পায় যে এক নাবালিকা কে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কনের বয়স ১৮ হয়নি, সূত্র অনুযায়ী তার বয়স বর্তমানে ১৭ যা ভারতীয় আইন অনুসারে বিয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। এরপরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন পুলিশ। বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের নাদুর এলাকার কালীমন্দিরে বিয়ের আসরে পৌঁছয় পুলিশ। নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করতে আসার অপরাধে আটক করা হয় বরকে। পাশপাশি নাবালিকার এই বিয়ের তোড়জোড় বন্ধ করে দেয় পূর্ব বর্ধমান চাইল্ড লাইন ও বর্ধমান থানার পুলিশ। নাবালিকাকে আপাতত
চাইল্ড লাইনের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আর বরকে আটক করে পেশ করা হয়েছে বর্ধমান জেলা আদালতে।
এদিকে নাবালিকা কনেকে বিয়ে করতে আসা বরের বয়স জানা যায়নি তবে মুখ দেখে অনুমান সাবালক হলেও তারও বয়স বেশি হবে না। ঘটনা দেখে বোঝাই যাচ্ছে অল্প বয়সী যুবকের সঙ্গে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল সেখানে। তাই এই ঘটনা বন্ধ করতে আসে চাইল্ড রাইটস কমিশন এবং বর্ধমান জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিয়ে ছেলে করুক এমন মত ছিল না পাত্রের বাবা-মায়ের। তাই তাঁরাই এই বিয়ে ভাঙতে সহযোগিতা করেন পুলিশকে। তবে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ।আইটির বাবা-মাকে কেন আটক করা হল না, পুলিশের তরফে তার কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।