মেয়ের বান্ধবীকে দিনের পর দিন আপত্তিকর মেসেজ ও অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগ এক প্রৌঢ় ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। জানা গেছে ওই প্রৌঢ়র মেয়ের সাথে তাঁর বাড়িতে একবার এসেছিল বান্ধবী। অভিযোগ, তারপর থেকেই ক্রমাগত ফেসবুকে মেয়ের বান্ধবীকে নানা অশ্লীল মেসেজ আর ছবি পাঠাতে থাকেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যাক্তি।
এরপর টানা একমাস ধরে ফেসবুক, মেসেঞ্জারে নানা অশ্লীল মেসেজ পাঠাতেন বলে অভিযোগ। মেয়েটির বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে সে চেষ্টা করে বিষয়টি পাত্তা না দিতে। কিন্তু এতে আরো বেড়ে যায় বিষয়টি। মেয়েটির ছবি নিয়ে সুপার ইম্পোজ করে অশ্লীল ইমেজ পাঠাতে থাকে।
এরপরই নিগ্রহতা সিদ্ধান্ত নেয় বিষয়টি পরিবার কে জানানোর। তার পরিবারের লোকজনের দাবী প্রথমে ফোন করে ওই ব্যক্তিকে তাঁরা বাড়িতে ডেকে আলোচনার মাধ্যমে সবটা মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফোন করতে ওই ব্যাক্তি মেজাজ দেখান তাদের উপর। বলেন যা বলার এসে বলতে, তিনি কোথাও যেতে পারবেন না।
এরপর ওই মেয়েটির দাদা ও আরও এক ব্যক্তি যান ওই অভিযুক্ত বান্ধবীর বাবার বাড়ি। বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু হলে স্বভাবতই তৈরি হয় উত্তেজনা। বিষয়টি শারীরিক নিগ্রহ পর্যন্ত যায়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তির শ্যালক তাঁদের লোহার রড দিয়ে প্রচন্ড মারধর করেন। নাবালিকার দাদার শরীর জখম হয়েছে, তৈরী হয়েছে একাধিক ক্ষত। তিনি সেই সব ক্যামেরার সামনেও দেখান। অভিযুক্ত ব্যাক্তির মেয়ের বান্ধবী সেই নিগ্রহিতা নাবালিকা বক্তব্য অনুযায়ী, “আমি প্রথমে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তারপর দেখি বিষয়টা ক্রমেই বাড়ছে। প্রথমে নিজেই কাকুকে বোঝানোর চেষ্টা করি। ফোন খুললেই ফেসবুকে, মেসেঞ্জারে দেখা যেত ওনার পাঠানো অশ্লীল ছবি। যা দেখলে গা রীতিমত শিউরে উঠত। আর কোনো উপায় না পেয়ে বাড়িতে সব কথা জানাই। ”
থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মূল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ও তাঁর শ্যালককে গ্রেফতার করেছে। ময়নাগুড়ি থানার আই সি তমাল দাস জানিয়েছেন, “ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”