আমরা অনেকেই ঈশ্বরের কাছে মনের কোন আশা থাকলে সেটা পূর্ণ হবার জন্য মানত করি। কিন্তু মানত পূরণ না হওয়ায় এই যুবক যা করলো এরম টা আগে শোনা যায়নি। জানুন পুরো ঘটনাটা
মানত পূরণ না হওয়ায় ভগবানের প্রতি ক্ষুব্ধ এক যুবক ছেনি-হাতুড়ি দিয়ে মন্দিরে ঢুকে দেব-দেবীর মূর্তি ভেঙে ফেলে। ঘটনার খবর পেয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নয়ডা পুলিশ। অভিযুক্ত মূলত মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলার বাসিন্দা। সূত্র অনুযায়ী পরিবারের সদস্য এর শারীরিক অসুস্থতার কারণে অভিযুক্ত যুবক তাদের হয়ে আরোগ্য লাভের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিল, কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে একটি মন্দিরে ঢুকে দেব-দেবীর মূর্তি ভেঙে ফেলে।
অভিযুক্তের নাম বিনোদ ওরফে ভুরা, সি-153 সেক্টর-37 থানার বিটা-2, গৌতম বুদ্ধ নগরের বাসিন্দা। বিনোদ মূলত মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুর জেলার বাসিন্দা। পুলিশ মঙ্গলবার বলেছে যে অভিযুক্ত, যে ভাবে ধর্মীয় স্থানে দেবদেবীর মূর্তি ধ্বংস করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিল, তার কারণেই গ্রেটার নয়ডার বেটা-২ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তর কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত ছেনি-হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ তাকে ৩৬-৩৭ নম্বর সেক্টরের গোলচত্বরের কাছে আটক করে।
পুলিশ জানায়, ২৩ মে রাতে ৩৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত মন্দিরে রাখা মূর্তিগুলো ভাংচুর করে অভিযুক্ত। এ ব্যাপারে সেখানকার স্থানীয় লোকজন অজ্ঞাত পরিচয় হামলাকারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় বিটা-২ থানা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় ব্যবহৃত ছেনি-হাতুড়িসহ অভিযুক্ত বিনোদ ওরফে ভুরাকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানান, প্রায় দুই-তিন বছর ধরে তিনি পরিবারের সদস্যদের অসুস্থতা নিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা , মানত করে গেলেও পরিবারের সদস্যরা রোগভোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। এদিন কাকিমার মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেনি-হাতুড়ি নিয়ে সে মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। ওই যুবক মন্দির ভাঙার অপরাধ স্বীকার করেছেন।