বিবাহিত মহিলার সঙ্গে অবৈধ প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল প্রতিবেশী এক অবিবাহিত দেওরের। অনেক চেষ্টা করেও সেই প্রণয়ের কথা জানাজানি হওয়ার হাত থেকে আটকাতে পারেননি তারা। গোপন অন্তরঙ্গতার সময় ছেলের সামনে পড়ে যান মা। বিশেষ অন্তরঙ্গ মুহূর্তে সন্তানের চোখে ধরা পড়ে যান মা। আর তারপরপরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন সেই মহিলা আর তার প্রেমিক যুবক।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) উস্তি থানার একতারা অঞ্চলের। ঘটনার পর পুলিশে খবর দেওয়া হলে রবিবার সকালে পুলিশ এসে দুই বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, মৃত মহিলার নাম বাসনা পুরকাইত (৩৪) ও যুবকের নাম মানস সাউ (২৯)। বাসনার দশ বছর আগে বিয়ে হয় একতারা গ্রামের জ্বালানি পাড়ার বাসিন্দা পিনাকী পুরকাইতের সঙ্গে। বাসনা দেবী, পিনাকী বাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। পিনাকী পুরকাইতের আগের পক্ষে সন্তান ছিল। স্বামী ও এক সৎ ছেলে বাইরে বসবাস করতেন। বাড়িতে থাকতেন না। আর এই ফাঁকে প্রতিবেশী এক অবিবাহিত যুবক মানসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত পরকীয়ায় (Extra Marrital Affair) লিপ্ত হয়ে পড়েন বাসনা। এতদিন লোকচক্ষুর অন্তরালেই চলছিল বিষয়টি।
কিন্তু শনিবার রাতে হঠাৎই এক অন্তরঙ্গ মেলামেশার সময় সামনে চলে আসে আরেক নাবালক সৎ ছেলে সুদীপ পুরকাইত। সে তার মা কে পাড়ার কাকুর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। নাবালক ছেলের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যান বাসনা পুরকাইত ও মানস সাউ। লোকলজ্জা আর অপমানের ভয়েই তারা বেছে নেন আত্মহননের পথ এমনটাই মত স্থানীয়দের। দুজনে যে যার বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই যুবক মানস রায়পাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকেন। তাঁর নিজের বাড়ি সাগরের সাপখালিতে। আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উস্তি থানার পুলিশ। স্ত্রীর মৃত্যু সংবাদে বাড়ী ফিরছেন বাসনার স্বামী ও সৎ ছেলে।
এক প্রতিবেশীরা জানান, ‘আজ সকাল ৬টা নাগাদ মৃতার ছেলে বুবাই তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে ডাকে। জানায় যে ওর মা দরজা খুলছে না। প্রতিবেশী গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তারা দরজা ভাঙেন। দরজা খুলে চোখে পরে বিছানার উপরে থাকা সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে ওই মহিলা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।’