উত্তরপ্রদেশের গোরখপুর জেলার এক মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, লাঞ্ছনা, যৌতুক হয়রানিসহ ধর্ষণের ভিডিও তৈরি করে ভাইরাল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এফআইআর-এ একটি চমকপ্রদ অভিযোগও রয়েছে যে স্বামী তার বন্ধুর দ্বারাও ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতেন। এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে পুলিশের তরফে।
খোরাবার থানা সূত্রে জানা গেছে, এলাকার জঙ্গল চাউড়ির বাসিন্দা এক মহিলা তার দায়ের করা অভিযোগে বলেছেন যে তার স্বামী গত ৬ মাস ধরে তার উপর ভীষণ অত্যাচার চালাচ্ছে। স্বামী মদ্যপান করে তার বন্ধুর সাথে বাড়িতে আসে এবং সম্মতি ছাড়াই জোর করেই তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এর পাশাপাশি বন্ধুর সঙ্গেও গৃহবধূ কে শারীরিক সম্পর্কও করতে হয় স্বামীর কথা মতন। প্রতিরোধ করলেই তাকে মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, স্বামীকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এই সমস্ত পাশবিক অত্যাচার ছাড়াও যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতিতা জানান, এই বিষয়ে গ্রামে পঞ্চায়েতও বসেছিল। যেখানে তার স্বামীকে শুধরে যেতে বলা হয়। কিন্তু স্বামীর কোনও উন্নতি হয়নি। গত ৬ই জুনও স্বামী তার বন্ধু ভিকিকে নিয়ে বাড়িতে আসে। এসে দুজনে মিলে তাকে মারধরের পর পর্যায়ক্রমে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও বানিয়ে সেটা ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে খোরাবার থানা পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী সহ তার বন্ধুর বিরুদ্ধে 323, 504, 506, 354, 376, 498A এবং 67 আইটি আইনের ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। দ্বিতীয় আসামি বাসগাঁও থানা এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ এখন অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে, নির্যাতিতা মহিলা খোরাবার থানা থেকে এফআইআর নথিভুক্ত করতে জেলার পুলিশ ক্যাপ্টেনের কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ ইতস্তত করতে থাকে। এদিকে, মহিলাটি কোনওভাবে এডিজি জোন অফিসে পৌঁছেন, যেখানে এডিজি মহিলাকে আশ্বস্ত করেন এবং অবিলম্বে স্থানীয় পুলিশকে নির্যাতিতা মহিলার এফআইআর নথিভুক্ত করার এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।