Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বাবার কাছে থাকবে বলে বায়না ছোট মেয়ের! ফাঁকা ঘরে সেই মেয়ের সাথে যে কুকীর্তি ঘটালো বাবা

নিজের বড় মেয়েকে সঙ্গে করে স্ত্রী গিয়েছিলেন তাঁর বাপেরবাড়ি। বাবার সাথে থাকতে চেয়ে বায়না করে বাড়িতে ছোট মেয়েটি থেকে গিয়েছিলো। এই থেকে যাওয়াটাই কাল হয়েছে দাঁড়ালো, বছর বারোর ছোট্ট মেয়েটিকে নৃশংসতার শিকার হতে হল। নিজের বাবাই সন্ধ্যে বেলায় মেয়ের উপরে পাশবিক অত্যাচার চালালো। এই হতাশ করা নৃশংস ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে মালদার গাজোল এলাকায়। নিজের ছোট মেয়েকে নিজের বাড়িতেই ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে। পুলিশি জেরার সামনে ওই অভিযুক্ত সম্পূর্ণ অভিযোগ স্বীকার করেও নিয়েছে। কিন্তু ওই অভিযুক্ত এক অদ্ভুত যুক্তি খাড়া করেছেন এই নৃশংস ঘটনার স্বপক্ষে, তাঁর মতে সে নেশার ঘরে এই কাজ করে ফেলেছে। নির্যাতিতা নাবালিকার মা স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Up teacher arrested for smashing students face with cake

স্থানীয়দের থেকে জানা গেছে , এই ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার দিন। বড় মেয়েকে নিয়ে সকালেই পাশের গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা। বাকি দুই সন্তান অর্থাৎ এক ছেলে ও ছোট মেয়ে বাড়িতেই ছিল। নির্যাতিতার মায়ের পুলিশ কে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী , ছোট মেয়ে তাঁর বাবার কাছেই থাকতে চাওয়ার বায়না করে থেকে গিয়েছিলো বাড়িতে। টাই আর বেশি জোর করেননি ছোট্ট খুদেকে। পরদিন অর্থাৎ সোমবার ওনার ফেরার কথা ছিল। আর রবিবারই ওই অঘটন ঘটে।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ঘরে ছিল না তার ভাই। সন্ধ্যার পর বাবা ঘরে ঢোকেন। সে পড়ছিল তখন। অভিযোগ, তাঁর বাবা হঠাৎই পিছন থেকে জাপটে ধরেন তাকে। এরপরই ঘৃণ্য আচরণ করে তার সঙ্গে বলে অভিযোগ। কোনও লাভ হয়নি আর্জি জানিয়েও। শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে কোনওক্রমে পালিয়ে পাশেই এক প্রতিবেশীর ঘরে চলে যায় ছোট্ট মেয়েটা। প্রতিবেশীর মোবাইল থেকেই রবিবার রাতে মাকে ফোন করে বাচ্চা মেয়েটা।

মায়ের কথায়, “হাউ হাউ করে মেয়ে কাঁদছিল। বলতে কিছুই পারছিল না। পরে বলল ‘মা বাবাই করল…’ বলে ফোন টা কেটে দেয়। নিজের কানকে তখনও বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না। বাড়ি ফিরি পরদিন সকালেই।” বড় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালে বাড়ি ফিরে আসেন নির্যাতিতার মা। মেয়ের কাছ থেকে তারপর সব শোনেন।

স্বামীকে এ বিষয়ে প্রথমে প্রশ্ন করলে, গোটা বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। বিষয়টা গ্রামে ততক্ষণে চাউর হয়ে যায়। ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন গ্রামবাসীরাও। চেপে ধরেন সকলে অভিযুক্তকে। যদিও এরপরে অভিযুক্ত নিজের সমস্ত অপরাধ স্বীকার করেন। এরপর ওই ধর্ষণকারীকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। অভিযুক্ত স্বীকার করেন সংবাদমাধ্যমের সামনেও,যে এই কাজ নেশার ঘোরেই তিনি করে ফেলেছেন।

নির্যাতিতাকে প্রথমে গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে গাজোল থানার পুলিশ নিয়ে যায়। তাকে মালদা মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ভর্তি করা হয়েছে । সেখানেই বাচ্চাটি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাচ্চা মেয়েটা আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠতে পারছে না।

Related posts

এই মডেল রাজি প্রত্যেক রাশিয়ান সেনার সাথে সেক্স করতে! কিন্তু রেখেছেন একটি অদ্ভুত শর্ত

News Desk

যৌন পরিষেবার দিতে চেয়ে করা হতো ফোন! রমরমিয়ে চলছিল অবৈধ কল সেন্টার

News Desk

হাজার চেষ্টা করেও কিছুতেই ওজন কমছিল না! অবসাদে ১১ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন ব্যাক্তি

News Desk