নারদ মামলায় CBI রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে। অসুস্থ হয়ে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায় , মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় জেলে যাওয়ার পরেই। তাঁদের চিকিৎসা চলছিল SSKM-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে । চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন একটি টিউমার ধরা পড়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভোকাল কর্ডে। মদন মিত্রের জন্য এই টিউমারটি কতটা মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে, তা জানতে আরও বেশকিছু পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আপাতত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিকিৎসকরা।
উডবার্নে ভর্তি থাকা মদন মিত্রের শারীরিক অবস্থা সবথেকে গুরুতর ছিল, তিন নেতা-মন্ত্রীর মধ্যে, হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। ভোটপর্বে মদন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও, শরীর ছিল দুর্বলই। নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর, তাঁর শারীরিক অবস্থার ফের অবনতি হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ক্ষত ধরা পড়েছে মদন মিত্রের ফুসফুসে। আপাতত উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর ঘরে ভর্তি।
গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার্জশিট পেশের দিনে গ্রেপ্তার করে CBI ৪ নেতা-মন্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে। নিম্ন আদালতে প্রত্যেকে জামিন পেলেও, তা স্থগিত হয়ে যায় হাইকোর্টে। যত দিন না পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ নির্দেশ দিচ্ছে, তত দিন তাঁদের গৃহবন্দি থাকতে হবে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে চেতলায় বাড়ি ফেরেন ফিরহাদ হাকিম পুলিশের গাড়ি করেই । কিন্তু বাকি তিন অভিযুক্ত হাসপাতালেই থেকে যান শারীরিক কারণে।
তাঁর অনুরাগীরা মদন মিত্রের গ্রেফতারির পর থেকেই কামারহাটিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন। প্রেসিডেন্সি জেল থেরে বেরিয়ে মদন মিত্র দাবি করেছিলেন, কোনও কথায় না শুনেই বেডরুমে প্রবেশ করেছিলেন তদন্তকারী দলের সদস্যরা তাঁর স্ত্রী কোয়ারেন্টাইনে আছে জেনেও। তিনি পাশাপাশি মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন।