৪৪ বছর বয়সী মহিলার নাম দৌলতাদেবী গুপ্তা। হাওড়ার সালকিয়ার রসিককৃষ্ণ ব্যানার্জি লেনের বাসিন্দা দৌলতাদেবী বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন। এই ভাবেই একটি বাড়িতে রান্নার কাজে গিয়ে রং মিস্ত্রি ২৪ বছর বয়সী আকাশ দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই মহিলার। আকাশের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। আলাপ পরিচয় হয় দুজনের মধ্যে। কথাও হতে থাকে ফোনে। আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে থাকে, গড়ে ওঠে সম্পর্ক। কথা হয় দেখা করার, সেই মতই আকাশ এবং দৌলতাদেবীর দেখা হয় গত শুক্রবার! কিন্তু দেখা করার পর যা ঘটে তার জন্য প্রস্তুত ছিল না আকাশ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার তারা দেখা করে দৌলতাদেবী নামক ওই মহিলা সালকিয়ার বাজল পাড়ার একটি পাঁচতলা বাড়ির ছাদে আকাশকে নিয়ে ওঠে। খোলা ছাদেই ঘনিষ্ঠ হয় দুজনে। লিপ্ত হন শারীরিক সম্পর্কেও। তারপরেই নিজের আসল রূপ ধরেন ওই মহিলা। ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন ওই যুবককে। আকাশ কে বলে তাঁকে অনেক টাকা দিতে হবে। নাহলে এই মেলামেশা, শারীরিক ঘনিষ্ঠতার কথা সব তার পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হবে। হুমকি শুনে চরম দ্বিধায় পড়ে যায় আকাশ। কি করবে দিশা না পেয়ে বেছে নেয় চরম পথ। ওই মহিলার হুমকির মাঝেই ওই পাঁচতলা বাড়ীর ছাদ থেকে নিচে লাফ দেয় আকাশ। সজোরে আছড়ে পড়ে পাশের একটা দোতলা বাড়ির ছাদে। পড়ার আওয়াজে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। গিয়ে দেখেন পরে আছে আকাশ, চারপাশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে।
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মালিপাচঘরা থানায় পুলিস। আকাশের মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। অভিযোগ, আকাশ এইভাবে ঝাঁপ দেওয়ার সাথে সাথে ওখান থেকে পালিয়ে যান ওই মহিলা। কিন্তু কাছের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে করে তার সন্ধান পায় পুলিস। এরপর শনিবার পুলিশ গ্রেফতার করেন অভিযুক্ত দৌলতাদেবী গুপ্তা কে।
পুলিশের জেরার মুখে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে দৌলতাদেবীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করেছে পুলিস। অভিযুক্ত মহিলাকে হাওড়া আদালতে তোলা হয়। তাকে আপাতত পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত