ঝাড়খণ্ডের খুন্তিতে প্রেমিকার সঙ্গে লিভ-ইন রিলেশনে থাকার পর যখন খরচ বাড়ল, তখন প্রেমিক বাধ্য হয়েই চোর হয়ে গেল এবং বাইক চুরিকে নিজের ব্যবসায় পরিণত করল। যুবকের এমন চুরির অভ্যাস হয়ে গেল যে সে এই ভাবেই বেশ কয়টি বাইক ও স্কুটি জমা করে ফেলল। তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে।
চোরাই বাইক ও স্কুটির নম্বর প্লেট বদল করে গহীন জঙ্গলে লুকিয়ে রাখত ওই দুষ্কৃতী যুবক। স্থানীয়ভাবে চোরাই বাইকের দাম কম হওয়ায় বাইরের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতেন সেগুলি। এখন পুলিশ তার খোঁজে ব্যস্ত। এই বাইক চোর চক্রের কথা জানিয়েছেন খুন্তির এসপি আমান কুমার।
এই ঘটনায়, পুলিশ খুন্তি জেলায় ২৭টি চুরি করা বাইক এবং স্কুটি সহ তিনজন বাইক চোরকে গ্রেফতার করেছে। প্রসঙ্গত খুন্তি জেলায় গত কয়েক মাস ধরে বাইক ও স্কুটি চুরির ঘটনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যার কারণে পুলিশের চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে।
খুন্তির এসপি আমান কুমারের নির্দেশে চোরদের ধরতে একটি দল গঠন করা হয়। পুলিশের টিম বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে, পরে জানতে পারে কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি চোরাই বাইক লুকানোর জন্য দশমাইল হয়ে রেমতা হয়ে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশের টিমটি চুকরু মোড়ের কাছে অ্যামবুশ করে বাইক চোরদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। চুরি করা বাইক নিয়ে আসা চোরেরা পুলিশের নজরে পড়লে তারা বাইক নিয়ে পালাতে শুরু করলেও চুকরু মোড়ে স্পিড ব্রেকার থাকায় পুলিশ তাদের ধরে ফেলে।
বাইকের কাগজপত্র চাইলে ওই ব্যক্তিরা কাগজপত্র দেখাতে না পেরে পালানোর চেষ্টা শুরু করেন। পুলিশ কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, এই সমস্ত আসামিরা বাইক চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায় যে এই লোকেরা চুরি করা বাইকটি বনের ঝোপে লুকিয়ে রাখতে যাচ্ছিল।
অভিযুক্তদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায়, অর্থাৎ খুন্তি আরকি ও মারাংহাদা থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ৯টি টিভিএস অ্যাপাচি, ১৩টি স্কুটি, ২টি হোন্ডা সিবিআর, ১টি হোন্ডা সাইন, ১টি ইয়ামাহা এমটি এবং ১টি পালসার সহ ২৭টি বাইক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের নাম হল মনোজ স্বানসি, হরেকৃষ্ণ লোহরা, আর অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নাবালক।