পশ্চিম বঙ্গে ৮ দফা নির্বাচনের মধ্যেই আছড়ে পড়ছে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ। তাই নির্বাচকালীন বিধি নিয়ে আরও কড়া হল নির্বাচন কমিশন। অতিমারী আইনের ৫১ থেকে ৬০ নং ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা এবার কঠোর ভাবে কার্যকর করার জন্য বিভিন্ন জেলা প্রশাসনগুলিতে নোটিশ দিল কমিশন।
এই সমস্ত আইন না মানলে হাজতবাস এবং মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া আছে। করোনা কালে নির্বাচনী প্রচারে ভাইরাল সংক্রমণ আটকাতে এই আইন যথেষ্ট জোরের সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে জেলা প্রশাসনগুলিকে।
একটি ভিডিও কনফারেন্সে যেসব জেলায় ভোট বাকি রয়েছে, সেই সমস্ত জেলা প্রশাসনগুলির বৈঠকে করে একথা কঠোর ভাবে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কেন কোভিড (Covid) বিধি ঠিকঠাক ভাবে মেনে চলা হচ্ছে না? এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ঠিক কী কী উপায় নিয়েছে? কেনই বা নিজেদের সর্বাধিক ক্ষমতা প্রয়োগ না করে শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিজেদের দায়িত্ব সেরে? এসব নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে তীব্র আলোচনার মুখে পড়তে হয় দিল্লি নির্বাচন কমিশনকে।
এরপরই রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক আর জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে জরুরি মিটিংয়ের ডাক দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের থেকে। এই ভিডিও কনফারেন্সে প্রথমেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে নির্বাচন কমিশনের কর্তারা জানতে চান, বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে অতিমারী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল, তা কেন ঠিকঠাক মতন পালন করা হয়নি? এই কারণেই হাইকোর্টে কমিশনকে ভর্ৎসনার শুনতে হয়েছে বলেও জানান তারা। এমনকি এই প্রশ্নও তোলা হয়, হাই কোর্টকে কেনই বা এই সবে হস্তক্ষেপ করতে হবে?
এরপর কমিশনের আধিকারিকরা জানান, করোনা বিধি অমান্য করলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন যেন এফআইআর করে। কমিশনের আরও বক্তব্য পার্থীকে শোকজ করা যথেষ্ট নয়। কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করে শাস্তি দিতে হবে।