পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু দেশ আছে যেখানে জনগনের ব্যাক্তিগত অধিকার বলতে কিছুই নেই। তবে এই তালিকা বোধহয় সবার আগে নাম লেখাবে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার আজব যত সব নিয়ম কানুন আছে তা জানলে যে কেউ চমকে উঠবে। এমনিতেই সেই দেশের রাষ্ট্রনায়ক কিম জং উন স্বৈরীচারি শাসক হিসাবে সারা পৃথিবীতে কুখ্যাত। অদ্ভুত নিয়ম কানুন প্রণয়ন করে তিনি মাঝে মাঝেই। আর সে কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হয় সেই দেশের নাগরিকদের। ব্যাক্তি স্বাধীনতার দিক থেকে তাদের দেশের মানুষের স্বাধীনতা বলে তো কিছুই নেই বরং কিম জং উনের খামখেয়ালিপনার শিকার তারা।
সম্প্রতি এমন এক আজব আইন প্রণয়ন করেছেন কিম জং উন যেখানে ১১ দিন সারা দেশবাসীকে কাটাতে হবে গোমড়া মুখে। অর্থাৎ ১১ দিনের জন্য উত্তর কোরিয়ার দেশের মানুষদের হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সেই দেশের রাষ্ট্রনায়ক।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে , উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন শাসক তথা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল-এর মৃত্যুবার্ষিকী ১০ বছর অতিক্রম হয়েছে। এই কারণে সারা দেশের মানুষকে শোক পালন করতে হবে এবং তাদের উপরে থাকবে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি। রেডিয়ো ফ্রি এশিয়া সূত্রে জানা গেছে, টানা ১১ দিন কোনো উত্তর কোরিয়ান মানুষ হাসতে পারবে না। এমনকি করতে পারবেন না মদ্যপানও। এই সময়ে কোনো উৎসবে মেতে ওঠা যাবে না। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই নিয়ম যদি কেউ না মানেন তাহলে তাকে কড়া শাস্তি পেতে হবে।
এর আগে পোশাক আশাক, চুলের ছাঁট, খাবার ইত্যাদি – সব নিয়েই উত্তরকোরিয়া বাসীর উপর কঠোর বিধি নিষেধ জারি করে রেখেছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। ক্ষমতায় আসার প্রথম পাঁচ বছরের শাসনকালে মোট ৩৪০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কিমের বিরুদ্ধে। কিমের নিজের কাকা থেকে শুরু করে দেশের তৎকালীন সেনা প্রধানের ইত্যাদি বহু জন রয়েছেন তাদের মধ্যে।
এমনিতেই কিম জং উন কোনো কিছু জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া পছন্দ করেন না। যা কিছু উত্তর কোরিয়াবাসীর ভালো লাগে, সব কিছুকেই তিনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেন। ২০১৪ সালের দিকে চকো পাই চকলেট উত্তর কোরিয়ায় ভীষণ জনপ্রিয় হয়। এতে কিম জং উনের রাগ হয়। তাই তিনি এই চকো পাই চকলেট নিষিদ্ধ করে দেন। নীল রঙা জিনসও সেদেশে নিষিদ্ধ, কারণ এই জিনস নাকি অ্যামেরিকান সাম্রাজ্যবাদকে বোঝায় তাই!