পর্ন দুনিয়া নিয়ে বিস্ফোরক পর্ন তারকা লানা রোডস। লানা রোডস জানিয়েছেন যে তিনি এখন ‘নীল ছবির বিরুদ্ধে’, বেশ কয়েক বছর আগেই ওই ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছেন।
প্রাক্তন প্রাপ্তবয়স্ক তারকা সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোতে উপস্থিতির সময় তার আগের জীবনের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত প্রথমবার মা হওয়ার পর তার প্রথম সাক্ষাত্কারগুলির মধ্যে একটি ছিল। ২৫ বছর বয়সী এই প্রাক্তন পর্ন তারকা জানুয়ারিতে পুত্র মিলোর জন্ম দেন, যদিও তার অনুরোধে, বাবার পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আনা যায়নি।
কিছুদিন আগে বডি বিল্ডার থেকে ইউটিউবারে পরিণত হওয়া ব্র্যাডলি মার্টিনের ‘র টক পডকাস্টের’ একটি সাম্প্রতিক পর্বে, রোডস অকপটে তার পর্ন ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা এবং সামগ্রিকভাবে যৌন শিল্পের ক্ষতিকারক প্রকৃতি সম্পর্কে কথা বলেছেন৷
পর্ন প্রযোজনা সংস্থা ব্রেজার্স এবং প্লেবয়ের মত বড় বান্যারের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন একসময়, উপার্জন করেছেন প্রচুর টাকা। তাও কেন ছেড়ে এলেন পর্ন ইন্ডাস্ট্রি?
লানা রোডস জানান “(পর্ণে) আমার খুব ভাল অভিজ্ঞতা ছিল না এবং আমি মনে করি না যে এটি অন্যান্য মহিলাদের, এমনকি পুরুষদের জন্যও দুর্দান্ত কিছু” রোডস বলেছেন, “আমি নিজেই এখন আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে। এতে স্পষ্টতই বিভিন্ন দিক রয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হার্ডকোর পর্নোগ্রাফি যা নিয়ে আমার সমস্যা রয়েছে।”
পর্ন ছবিতে এমন কিছু দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। জানিয়েছে লানা। তিনি বলেন হার্ডকোর পর্ন -এ কাজ করতে গিয়ে তাকে এমনকি সহ অভিনেতার প্রস্রাব পর্জন্ত পান করতে হয়েছে। ওই দৃশ্যের পরেই তিনি বমি করে দেন।
“প্রত্যেকে তারা নিজের জীবনে যেটা চায় তা করতে পারে, তবে আমি মনে করি না যে তারা নিজের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যখন পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে জয়েন করছে। আমি মনে করি না যে আপনি যাদের চেনেন না সেই সব লোকদের সাথে যৌন সম্পর্ক করা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য বা আপনার হৃদয়ের জন্য ভাল,” তিনি যোগ করেছেন। ২০১৭ সালে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে যাওয়ার পরে, আমেরিকান ইউটিউবার এবং লোগান পলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাইক মাজলাকের সাথে সম্পর্ক শুরু হয়। ২০২০ সালে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও, এই জুটি এখনো ভাল বন্ধু রয়ে গেছে। সেই ব্যাক্তি এই শোতে গেস্ট অ্যাপিয়ার্ন্সে এসে সকলকে চমকে দেয়।
অবশেষে, রোডস প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র করা ছেড়ে দেন এবং জানান যে অদ্ভুত ভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে আসার পর প্রাপ্তবয়স্ক তারকা হিসেবে তিনি ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় হয়েছেন। তার ১৬ মিলিয়নেরও বেশি ইনস্টাগ্রাম অনুসরণকারী। রোডস বর্তমানে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং এটিই তার পেশা।