২০১৬-র ৮ নভেম্বর রাত। প্রধানমন্ত্রী একটা ঘোষণা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। কারণ, জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণে সেইদিন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল (Demonetisation) করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
কেন্দ্রের দাবি ছিল, কালো টাকা ফেরত আনতেই নোট বাতিলের (Demonetisation) সিদ্ধান্ত। এক রাতের মধ্যে গোটা দেশে ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় পরের দিন থেকে লাইন পড়ে যায় ব্যাঙ্কে। এখন প্রশ্ন হল পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিয়ে কী করল রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক (Reserve Bank of India)?
পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা পড়ে রিজার্ভ ব্য়াঙ্কে।
পুরনো সমস্ত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা পড়ে রিজার্ভ ব্য়াঙ্কে (Reserve Bank of India)। যে পরিমাণ মূল্যের টাকা জমা পড়েছিল, পরিবর্তে সেই পরিমাণ মূল্যের ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট বাজারে আনে রিজার্ভ ব্য়াঙ্কে (Reserve Bank of India)। এছাড়া নতুন ২০, ১০০ এবং ৫০ টাকার নোটও বাজারে আনা হয়।
জানা যায়, জমা পড়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটগুলো রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের কারেন্সি ভেরিফিকেশন প্রসেসিং সিস্টেম (CVPS) অনুযায়ী বাতিল করে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, বাতিল হওয়া পুরনো নোট আর ব্যবহার করেনি রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক (Reserve Bank of India)।
বাতিল করা পাঁচশো-হাজার টাকার নোট দিয়ে উপহার সামগ্রী তৈরি করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
বেশকিছু নোটের কাগজ অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। আহমেদাবাদের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইনের ছাত্ররা সেগুলো দিয়ে অনেক কিছু বানিয়েছেন।
কলকাতায় তার বরাত দেওয়া হয়েছে লায়ন ইন্ডিয়া নামে একটি সংস্থাকে। রূপ পাল্টে বাতিল নোট এখন টেব্ল ম্যাট, ফোটো-ফ্রেম, ঘড়ি, পেপার-হোল্ডার, কোস্টার, পেন্সিল মাগ, কম্পিউটারের মাউস প্যাড, টিস্যু পেপার বক্স ইত্যাদি। যে-পসরা থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না চেনা নোটকে।
জানা গেছে নোটের কুচি ব্যাবহার করে লন্ডন থেকে আনা স্পেশাল ভ্যাকুয়াম প্রেসার মেশিনের মাধ্যমে একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করেই পণ্যগুলি তৈরি হয়েছে।