সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি। যেখানে কয়েকজন পুরুষকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় হাত গুটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই দৃশ্য ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা। জানা গেছে ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার। যেখানে একটি থানার ভেতর পোশাক ছাড়া কয়েকজনকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন। সাংবাদিক ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং হুমকি দেওয়া হয়েছে।
থানার ঘটনা এবং ভাইরাল হওয়া ছবি সম্পর্কে, ওই থানার অতিরিক্ত এসপি অঞ্জুতা প্যাটেল বলেছেন যে বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে এবং এসপি সিধির নির্দেশে, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার গায়ত্রী তিওয়ারিকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই দিকে এই ভাইরাল ছবির বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক কনিষ্ক তিওয়ারি জানিয়েছেন যে তিনি তার ক্যামেরাম্যানের সাথে একটি অবস্থান বিক্ষোভ কভার করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁকে ধাক্কা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। সংবাদিক আরো জানান “থানায় আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এমনকি আমার পরনের কাপড় খুলে ফেলা হয়েছিল। থানায় আমায় সব রকম ভাবে লাঞ্ছনার শিকার বানানো হয়।” কনিষ্ক বলেন- “লাঞ্ছনার বিষয়টি আমি প্রকাশ্যে আনার পর আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর বলা হচ্ছে অযথা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে। আমার উপর হামলা করা হবে। আমার পুরো পরিবার ভীষণ ভয় এর মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।”
জানা গেছে বিজেপি বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার ছেলে গুরু দত্ত শুক্লাকে ফেসবুকে এক ব্যক্তি গালিগালাজ করেছেন। এই ফেসবুক আইডিটি ছিল অনুরাগ মিশ্রের নামে। সিধি কোতোয়ালি থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন বিধায়কের ছেলে। তদন্ত চলাকালীন, পুলিশ থিয়েটার শিল্পী নীরজ কুন্দরকে হেফাজতে নিয়েছে।
নীরজ কুন্দরের গ্রেফতারের পর ইন্দ্রাবতী নাট্য সমিতির বহু সদস্য সিধি কোতোয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। তারা শিবরাজ সিং মুর্দাবাদ, পুলিশ প্রশাসন মুর্দাবাদ ও বিজেপি মুর্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আন্দোলনকারী সবাইকে আটক করেন। ১৫১ ধারায় মামলা দায়েরের পর তাদের থানায়ই পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
থানায় যারা প্রতিবাদ করছিল তাদের সবাইকে তল্লাশি করা হয়েছে। তল্লাশির জন্য এনাদের জামাকাপড় খুলে ফেলা হয়। এই সময় কেউ একজন এর ছবি তুলে নেয়। যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।
এই ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত এসপি অঞ্জুতা প্যাটেল বলেছেন যে বিধায়ক পুত্রকে একটি জাল আইডির মাধ্যমে হেনস্থা করা হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন, থিয়েটার শিল্পী নীরজ কুন্দরকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। এরপরই থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান বহু নাট্যকর্মী ও কনিষ্ক তিওয়ারি। এসময় সবাইকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয়।