কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নয়া নিয়ম জারি করা হল সিম কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে। নিজের নাম এ বেশি সিম থাকলেই সিমের কানেকশান কেটে দেওয়া হবে। আসুন জেনে নেই কটা সিম কার্ড রাখতে পারবেন আপনি।
নয়ের বেশি সিম কার্ড আছে কি আপনার নামে?
যদি থেকে থাকে তবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে এই সিম গুলির কানেকশান। কেন্দ্রীয় টেলিকম সংস্থা থেকে এমন নিয়ম জারি করা হল। তবে সেই সংখ্যাটা ছয় জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অসমের ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রের টেলিকম সংস্থা থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই টেলিকমিউনিকেশন দফতরের তরফে প্রত্যেক গ্রাহকের তথ্য ভেরিফিকেশন হচ্ছে, যদি নয়টির বেশি মোবাইল সংযোগ থাকে কোনও গ্রাহকের এবং ছয়টির বেশী সিম রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অসমের ক্ষেত্রে, তাহলে পুনরায় যাচাই করা হবে (SIM Card) তাঁদের তথ্য। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু কোনও নির্দিষ্ট টেলিকম সংস্থার ন’টি সিম নয়, সব সংস্থা মিলিয়েই ন’টির বেশি সিমকার্ড থাকলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এবং যেহেতু এখন সিম কার্ড দেওয়া হয় আধার লিঙ্ক করেই, তাই টেলিকমিউনিকেশন দফতরের বেশী বেগ পেতে হবে না কোন গ্রাহকের কতগুলো সিম সেটা জানতে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আর্থিক দুর্নীতি, ভুয়ো ফোন, জালিয়াতির মতো বিষয়ে রাশ টানতে। তথ্য যাচাই করা যায়নি যে সিমের ক্ষেত্রে, সেই নম্বরগুলি ডেটাবেস থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র টেলিকম সংস্থাগুলিকে। নিয়ম মোতাবেক, তথ্য যাচাই করা যায়নি যে সিমের ক্ষেত্রে, যদি সিম ছেড়ে দিতে চান সেগুলির গ্রাহকরা, তাহলে ডেটা পরিষেবা-সহ ‘আউটগোয়িং’ পরিষেবা (ফোন করার) ৩০ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে সেই সিমগুলির। ৪৫ দিনের মধ্যে ‘ইনকামিং’ পরিষেবা (ফোন আসার) বন্ধ হয়ে যাবে। যদি পুনরায় তথ্য যাচাই না করেন গ্রাহকরা, তাহলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে ৬০ দিনের মধ্যে। ৭ ডিসেম্বর থেকে যে সময়সীমা কার্যকর হবে। জানানো হয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশিকায়, যদি গ্রাহকরা বিদেশে থাকেন বা হাসপাতালে ভরতি থাকেন বা বিশেষভাবে সমক্ষ হন, ৩০ দিন প্রদান করা হবে তাহলে বাড়তি।