এবার কলকাতায় চালু হল ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে শুরু হল ভ্রাম্যমাণ টিকাকরণের পরিষেবা। ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ এই পরিষেবার মাধ্যমে আপাতত শহরের যে সমস্ত অঞ্চল অতি সংক্রামক সেই এলাকাগুলিতে চলবে টীকা করণ। আগামী বৃহস্পতিবার, ৩রা জুন পোস্তা মার্কেট থেকে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করবে কলকাতা পুরসভা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিছুটা হ্রাস এসেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করেছেন খুব দ্রুতই কোভিড (COVID-19) সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তার আগেই তৈরী থাকতে চাইছে শহর। তাই কলকাতার সমস্ত বাসিন্দাদের কোভিড টিকাকরণ যাতে সম্পূর্ন হয় সেই লক্ষ্যে নতুন এই পরিষেবা আনছে তারা- ‘ভ্যাকসিন অন হুইল’।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, একটি ব্যাটারি চালিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস কলকাতার যে সমস্ত জায়গায় জনবহুল বাজার রয়েছে সেই সমস্ত স্থানে ঘুরবে। ওই বাসের মধ্যেই চলবে ভ্যাকসিনেশন। বাসের মধ্যে থাকবেন ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোনও ব্যক্তি এই ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে টিকা নেওয়ার পর বাসের মধ্যেই আধ ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারবেন। টিকা দেওয়ার সাথে সাথেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। সেই আধ ঘণ্টা টিকা নেওয়া ব্যাক্তি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। টিকা নেওয়ার পর কোনো শারীরিক অসুবিধা হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যাবস্থা করবে এই বাসে থাকা ডাক্তার এবং সাস্থ্য কর্মীরাই।
এই ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ চালুর মূল কারণ হলো কলকাতার টিকাকরণ কর্মসূচিকে আরও দ্রুত করা। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রধান ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাজার এবং জনবহুল স্থান গুলিতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অধিক। কিন্তু ওই এলাকার বহু মানুষ রয়েছেন, বেশীর ভাগ ব্যবসায়ীরা, দোকানি, হকাররা টিকা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারছেন না। বলছেন, ব্যবসা ছেড়ে কীভাবে যাব? জীবিকার জন্য তাঁদের দোকানও খুলতে হবে। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ ধরণের এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’’
এই পরিষেবার জন্যে একটি বাসকে আপাতত পরিবহণ দফতর তরফে দেওয়া হয়েছে। বাসটির সিট সংখ্যাগুলোর উপর একটি আধ ঘন্টার ব্যাচে কত জন ব্যক্তি টিকা নেবেন তা নির্ভর করবে।