তাঁর সন্তানকে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে, না হলে এই উঁচু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের প্রাণ দিয়ে দেবেন। এই কথা বলে মোবাইল টাওয়ারে চড়ে বসেছিলেন এক মহিলা। কাকুতি মিনতি, বা পুলিশের আশ্বাস কোন কিছুতেই চিড়ে ভেজেনি। কিন্তু আচমকাই দৃশ্যটা পাল্টে গেল যখন তাকে ঘিরে ধরল এক ঝাঁক বোলতা। আত্মহত্যার প্ল্যান বাতিল করে তড়িঘড়ি টাওয়ার থেকে একপ্রকার নেমে আসতে বাধ্য হলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের আলাপুঝাতে।
কেরালার একজন মহিলা যিনি মোবাইল টাওয়ার থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন, তাকে বাঁচানো সম্ভব হলো তার চারপাশে ঝাঁক বাঁধা বোলতা তাকে টাওয়ার থেকে নামতে বাধ্য করার পরে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই মহিলা উপকূলীয় আলাপুঝার শহর কেরালার কায়ামকুলামের একটি বিএসএনএল মোবাইল টাওয়ারে উঠে বসেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল তার স্বামী যে শিশুটিকে নিয়ে গেছে, তাকে ফিরিয়ে না দিলে তিনি লাফ দিয়ে দেবেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে নিচে নামার কথা বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলে ঘটনার ভিজ্যুয়ালে দেখা গেছে যে মহিলাটি যখন মোবাইল টাওয়ারের শীর্ষে উঠতে ব্যস্ত ছিল, তখন সে অসাবধানবশত একটি বোলতার বাসা ভেঙ্গে ফেলেন। এরপরই হঠাত্, বোলতা গুলো তার চারপাশে ঘিরে ধরলো এবং কিছু তাকে দংশন করা শুরু করলো। বোলতার কামড়ের আতঙ্কে, মহিলাটি টাওয়ার থেকে চিৎকার করতে করতে দ্রুত নিচে নামতে শুরু করে। বোলতা গুলোও তার চারপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে চলতে থাকে।
মাটির কিছুটা কাছাকাছি এসে আর না পেরে তিনি ঝাঁপ দিয়ে দেন নিচের ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দ্বারা দৃঢ়ভাবে আটকে রাখা একটি সুরক্ষা জালে। সেখানে লাফিয়ে পড়ার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে যদি বোলতা না থাকত তবে সে হয়তো নিচে নামতে পারত না। কায়ামকুলামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশ বলেছে যে তারা তার স্বামী বা আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে, যদিও এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত যা জানা গেছে তা হল তারা এখনও মহিলার কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য পায়নি।