অবিকল ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ, পার্থক্য এই যে সুচটা নেই। আর সেই সিরিঞ্জে ভরা তরল চকোলেট! হ্যাঁ, ঠিক এমনই এক চকোলেট বিকোচ্ছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন দোকানে। চকোলেটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডক্টর চকোলেট’। সিরিঞ্জে ভরা এই চকোলেট শিশুদের পক্ষে কতটা নিরাপদ? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন হুগলির বাসিন্দারা।
চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-সহ জেলার বিভিন্ন স্টেশনারি দোকানে এই চকোলেট বিক্রি হচ্ছে রমরমিয়ে। একটি সিরিঞ্জ ভরা চকোলেটের দাম ধার্য করা হয়েছে ৫ টাকা। অন্যরকম দেখতে, ফলে খুদেদের নজর কেড়েছে। কচিকাঁচারা নিয়মিত তাদের বাবা-মায়েদের বিরক্ত করেছে, এই চকোলেটের জন্য। খানিকটা বাধ্য হয়েই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ওই চকোলেট কিনে দিচ্ছেন। তবে এই পদ্ধতিতে চকলেট খাওয়া নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়ছে। কারণ, সিরিঞ্জের পিস্টনে জোরে চাপ দিলে ওই তরল চকোলেট শিশুর গলার সংবেদনশীল অংশে আটকে বিপদ হতে পারে। এদিকে চকোলেটটি খাওয়ার পর খালি সিরিঞ্জটি নিয়ে খেলছে শিশুরা। যা চিন্তা দ্বিগুণ করছে।
করোনা (Coronavirus) অতিমারী কালে সিরিঞ্জের ভিতরে তরল চকোলেট খোলা বাজারে বিক্রি হওয়ায় তা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। দেখা গিয়েছে, চকোলেট খাওয়ার পর ওই সিরিঞ্জের মুখে সূঁচ লাগানো যায়। ফলে ফেলে দেওয়া সিরিঞ্জ অসাধু ব্যবসায়ীরা রোগীকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতেই পারেন বলেই দাবি অনেকের।
চুঁচুড়ার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সত্যনারায়ন মিত্র জানান, অবিলম্বে সরকারের এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। কারণ, কারও জানা নেই এই সিরিঞ্জ একবার ব্যবহার হওয়ার পর তা কোনও দুষ্ট চক্রের হাত ধরে পুনরায় বাজারে ফিরে যাচ্ছে কি না। এই বিষয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রমা ভূঁইঞা জানান তিনি বিষয়টি শুনেছেন। ইতিমধ্যেই হুগলির খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ১১ জন আধিকারিককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।