ভারতে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কাল কিছুটা স্বস্তি জাগিয়ে একটু কম হয়েছিল দৈনিক করোনা কেস। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও তুঙ্গে উঠল করোনায় (Covid 19) দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। একদিন দেশে করোনায় (Coron) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ছুঁই ছুঁই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭২০ জন। মঙ্গলবারের প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে বুধবারে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ হাজারেরও। গতকালের ১.৬৪ লাখ করোনা কেসের তুলনায় যা ১৫.৮ শতাংশ বেশি।
দৈনিক করোনা পজিটিভিটি রেট দাড়িয়ে ১১.০৫ শতাংশে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত বুধবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের।
বুধবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী করোনা কে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬০ হাজার ৪০৫ জন। দেশের বর্তমান করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩১৯ জন। পাশাপাশি দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ বেড়ে দাঁড়ালো ৪ হাজার ৮৬৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ৪০০ জনেরও বেশি ওমিক্রণ আক্রান্তের নতুন করে সন্ধান মিলল।
তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ভারত ফ্রন্টলাইন মেডিক্যাল কর্মীদের এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যাক্তিদের বুস্টার ডোজ দিচ্ছে। এই সত্ত্বেও, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টটি “প্রায় অপ্রতিরোধ্য” এবং সবাই শেষ পর্যন্ত এতে সংক্রামিত হবে, একজন শীর্ষ সরকারী বিশেষজ্ঞ গতকাল সংবাদ সংস্থা এনডিটিভিকে এমনটা বলেছেন।
বুস্টার ভ্যাকসিনের ডোজ এই করোনা ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কে থামাতে পারবে না, মহামারী বিশেষজ্ঞ এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজির বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন ডাঃ জয়প্রকাশ মুলিল বলেছেন, ওমিক্রন নিজেকে সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির মতই মতোই উপস্থাপন করে।
এই কারণে আশার কথা করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ে, বেশিরভাগ সংক্রামিত লোকেরা বাড়িতেই সুস্থ হয়ে উঠেছে এবং গত বছর এপ্রিল এবং মে মাসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় হাসপাতালে ভর্তির যা সংখ্যা ছিল বর্তমানে সেটা অর্ধেকেরও কম।