এখনই অবধি যত ভ্যাকসিন তৈরী হয়েছে তা ওমিক্রনকে রুখতে ব্যর্থ। কিন্তু এখন এই ওমিক্রন কে রুখতে ভারতেই তৈরী হচ্ছে ভ্যাকসিন। সংবাদসংস্থা এএনআই এক সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মানবদেহে ভারতের প্রথম সম্ভাব্য এমআরএনএ টিকার ট্রায়াল শুরু হতে পারে আগামী মাসেই।
পুণের জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যাল শুধুমাত্র ওমিক্রনের জন্য টিকা তৈরির কাজ চালাচ্ছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স এমনটাই জানিয়েছে। সেই ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ তৈরি হয়ে যেতে পারে আগামী এক থেকে দু’মাসের মধ্যে বলে সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছোটো একটি ট্রায়াল করা হতে পারে নাম গোপন রাখার শর্তে ওই সূত্র জানিয়েছেন যে সেই ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-কে বুস্টার বা পৃথক টিকা হিসেবে আনার আগে। জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যালের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মানবদেহে ভারতের প্রথম সম্ভাব্য এমআরএনএ টিকার (যা জেনোভার মূল ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ বলে দাবি করেছে রয়টার্স) আগামী মাসেই ট্রায়াল শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যে জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যাল দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য জমা দিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্যও। শীঘ্রই সেই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখবে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) বিশেষজ্ঞ কমিটি। মানবদেহে ট্রায়ালও চালানো হবে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকরী কিনা এবং অনাক্রম্যতা গড়ে উঠছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য বলে ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে এএনআই।
উল্লেখ্য, টিকার ট্রায়ালের বিষয়ে জেনোভা গত বছরের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল, ডিসিজিআই ভারতের প্রথম mRNA-নির্ভর সম্ভাব্য টিকা HGCO19-র দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। HGCO19 ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে ‘সুরক্ষিত’ বলে প্রমাণিত হয়েছে। অনাক্রম্যতা গড়ে উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে বলেও দাবি করেছিল পুণের জেনোভা ফার্মাসিউটিক্যাল।