বড় সর ঘোষনা এলো কেন্দ্রের তরফে। বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে আসা অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করল ভারত (India)। এই নাগরিকত্ব প্রদান প্রক্রিয়া নিয়ে শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সূত্র অনুযায়ী বিভিন্ন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং জৈন ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা,ছত্তিশগড় এবং পাঞ্জাবের ১৩টি জেলায় বসবাসকারী অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু সিএএ (CAA) সংক্রান্ত নিয়ম এখনও লাগু হয়নি। যার জেরে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ীই এই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এখনই ভারতে কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। বিজেপি সরকারের দেওয়া আশ্বাস সত্বেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইন (CAA) লাগু করার সময়সীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। এই বছরেই এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই নির্ধারিত সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয় সংসদীয় কমিটি। কেন্দ্রের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। ফলে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ থেকে আসা অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া অনেক সময় নিচ্ছে বলেই মত অনেকের।
উল্লেখ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ হয়েছিল দেশজুড়ে। পালটা বিজেপির বক্তব্য, মুসলিম অধ্যুষিত দেশ গুলিতে সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ ও অন্য ধর্মাবলম্বীদের বাঁচাতেই এই আইন আনা হয়েছে। এটা নাগরিকত্ব প্রদান করার আইন, কারো থেকে নিয়ে নেওয়ার নয়। সংখ্যালঘু তোষণ করতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিষয়টির বিরোধিতা করছে।