বিয়ের সব কিছু ঠিক। প্রস্তুতি তুঙ্গে। এমনকি সারা হয়ে গেছে পাত্র-পাত্রীর প্রি-ওয়েডিং শ্যুট পর্যন্ত। এত কিছুর পরেও বিয়ের ঠিক আগের দিন বিয়ে ভেঙ্গে দিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পাত্র। কারণটা বেশ শোচনীয় এবং লজ্জাজনকও বটে।
রাজস্থানের ভরতপুরে যৌতুকের দাবিতে বিয়ে করাতে আসা কনে পক্ষের লোকজনকে শ্লীলতাহানির ঘটনা সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, পাত্র পক্ষের লোকজন বাড়ির বাইরে কন্যা পক্ষের লোকজনকে মারধরের চেষ্টাও করে। বলা হচ্ছে, ২১ এপ্রিল ভরতপুর শহরের ব্রজ নগরের বাসিন্দা লখন সিংয়ের ছেলে সোনবীরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল রূপবাস থানা এলাকার নাগলা পছাদারা গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ প্রসাদের মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের একদিন আগে পাত্রের বাড়ি থেকে মেয়েটির বাড়ির লোকজনের কাছে যৌতুক দাবি করে সম্বন্ধ ফিরিয়ে দেয়।
২০২১ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি দুজনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তারপরেও বিয়ের আগের দিন মেয়ের বাড়ির লোক রেওয়াজ অনুযায়ী তত্ত্ব নিয়ে এলে পাত্র পক্ষ সেগুলি অস্বীকার করে বিয়ে ভেঙে দেয়। এরপরে মেয়ের বাড়ির লোকজন মথুরা গেট থানায় পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায়। মেয়ের পক্ষের লোকজন বাদী হয়ে মহিলা থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবী করার মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটির পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, নিবেদন নিয়ে ছেলের বাড়িতে পৌঁছলে সেখানে কেউ ছিল না সেগুলো গ্রহণ করার মত। এরপর কয়েকজন হঠাৎই তাদের মারধরের চেষ্টা করেন। গালাগালির পাশাপাশি বাইরে থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বিয়ের আগেই বেশ কিছু যৌতুকের জিনিস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছেলের বাড়িতে পৌঁছেছিল। সম্বন্ধ পাকা হওয়ার পরে, পাত্র ও পাত্রী দুজনেই উদয়পুর এবং রাজস্থানের অনেক লোকেশনে প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করেছিলেন। কিন্তু তা সত্বেও বরের পরিবারের লোকের এই অনৈতিক কাজের পর মেয়ের পক্ষের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশও বোঝানোর চেষ্টা করলেও ছেলের বিয়ে করতে অস্বীকার করে তার পরিবার এবং যৌতুক দিলেই তবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হবে বলে জানায়।
মেয়েটির বাবা গোবিন্দ প্রসাদ বলেন, এক টাকার বিনিময়ে বিয়ের সম্পর্ক ঠিক হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ইতিমধ্যেই লাখ লাখ টাকার যৌতুকের জিনিসপত্র ছেলেটির বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তাদের দাবি বাড়তেই থাকে এবং অবশেষে বিষয়টি থানায় পৌঁছায়। দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে যৌতুক নিয়ে বিবাদের অবনতি হয় এবং বিষয়টি থানায় পৌঁছায়। এখন যৌতুকের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে মহিলা থানা পুলিশ।