২০০০ সালের পর দীর্ঘ ২১বছর পর অবশেষে ফিরে এলো দিনটা । পৃথিবীর খুব কাঙ্খিত আলোয় ঝলমলে মিস ইউনিভার্স এর মঞ্চতে দাঁড়িয়ে আনন্দে কেঁদে ফেললেন ভারতের প্রতিনিধি হারনাজ সান্ধু । এর আগে বা বলা যায় শেষবার ২০০০ সালে লারা দত্ত জিতেছিলেন এই মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন । সুস্মিতা সেন জিতেছিলেন ১৯৯৪ সালে।
ইসরায়েলের বন্দরনগরী এইলাটে এ রোববার মধ্যরাতে প্রতিযোগিতার ৭০তম আসরের বিজয়ী হিসেবে। ২০২০ সালের মিস ইউনিভার্স মেক্সিকোর ফ্যাশন মডেল আলমা আন্দ্রেয়া মেজা কারমোনা তাকে মুকুট পরিয়ে দেন।
এই হারনাজ সান্ধু কে? তার পরিচয় কি? এই মডেল সম্পর্কে নানা অজানা তথ্য জেনে নিন !
এই সুন্দরী ২১ বছরের চণ্ডীগড়ের মডেল। পড়াশোনা করেছে সে ওই শহর থেকেই, গ্ল্যামার দুনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্ত হারনাজ, একাধিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার খেতাব তাঁর ঝুলিতে রয়েছে। সকলের নজর কেড়েছিলেন হরনাজ টাইমস ফেস, ২০১৭ সালে এই প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়েই। নানান ছোট বড় সংস্থার সঙ্গে চুক্তবদ্ধ হয়ে এরপর থেকেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মডেলিং-এর কাজ। ছোট থেকেই মডেলিং করার ইচ্ছে ছিল। তবে তার সঙ্গেই লেখাপড়া বজায় রয়েছে। বর্তমানে মাস্টার্স ডিগ্রি করছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া পঞ্জাব হিসেবেও তিনি নির্বাচিত হন ২০১৯-এ। এরপর পরিচিতি বাড়তে থাকে। তাঁর হাতে একের পর এক কাজ আসতে থাকে। অভিনয় সফর এখান থেকেই শুরু হয়। হরনাজের বহু পঞ্জাবের ছবি থেকে ডাক আসে। তারই কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। তাঁর মিস ইউনিভার্স হওয়ার পথে প্রস্তুতি নিয়ে ২০২১-এ টাইমস ফ্রেশ ফেস -এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিলেন।
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, যোগ ব্যায়াম করা, নাচের অনুশীলন কিংবা ঘোড়া ছোটাতে ভালোবাসেন খালি সময়ে। সে দাবা খেলাতেও পারদর্শী। জলের সাথে খুব টান হারনাজের । তিনি সময় পেলেই সুইমিং পুলে গা ভিজিয়ে নেন। নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে ভালোবাসেন ‘ওয়াটার বেবি’ বলে।
হারনাজের ইনস্টাগ্রামে বায়ো তে লেখা ‘ যাতে এই গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তোমার হয় তুমি এমনভাবে জ্বলে ওঠো’। আর যেমন কথা তেমনই কাজ, গোটা ব্রহ্মাণ্ডের সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হলেন তিনি এদিন সত্যিই নিজের রূপ, লাস্য আর বুদ্ধিমত্তার জাদুতে।