স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সুখেই কাটছিল তার দাম্পত্য জীবন। কিন্তু হঠাৎই জীবনে এলো নতুন প্রেম। প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে হায়দরাবাদের এই ব্যক্তির এমনই অবস্থা হল যে তিনি নিজের বিবাহিত জীবন ছেড়ে প্রেমিকার সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তের ফলে তার যা দুরবস্থা হল শুনলে অবাক হবেন।
স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ভালোমন্দ মিশিয়ে বিবাহিত জীবন কাটাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু আচমকাই আরেক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা থেকে সেই বন্ধুত্ব আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতার রূপ নিতে থাকে। এরপর আস্তে আস্তে দেখা করা, রেস্তোরাঁয় সময় কাটানো সবই চলতে থাকে। তারপরে নিজের পরকীয়াকে পরিণতি দিতে আচমকাই পালিয়ে যায় সেই ব্যাক্তি। কিন্তু তার পালিয়ে যাবার পরিণতি যে এমন হবে তা জানলে হয়তো এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত নিতেন না হায়দারাবাদের কুকাটপল্লির সেই ব্যক্তি।
পুলিশ সুত্রে খবর, ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকে কিছু না জানিয়ে চলে যাবার পর তাঁর স্ত্রী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। সন্তানরা স্বাভাবিকভাবেই বাবাকে খুঁজছিল। তাদের ওই মহিলা বলে বাবা কাজে দিল্লি গিয়েছে। পুলিশ ও ওই ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত শুরু করে। এর কিছুদিন পরেই খোদ ওই ব্যক্তিই এসে হাজির হয় পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি করে তিনি জানান নিজের ভুলেই এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি সাইবারবাদ থানার পুলিশকে ওই ব্যক্তি অনুরোধ করে, তাঁর স্ত্রী’কে বুঝিয়ে, তারা যেন আবার তার বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যাবস্থা করেন।
প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর্দার কি অভিজ্ঞতা হয়েছে সেকথাও পুলিশের কাছে সবিস্তারে জানান ওই ব্যক্তি। দুর্বলতার কারণে প্রেমিকার সঙ্গে চলে গিয়ে দুমাস কাটিয়েই তিনি নাজেহাল হয়ে গিয়েছেন। তিনি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন তার প্রেমিকার আবদার মেটাতে মেটাতে তিনি সর্বস্বান্ত। এমনকি এই দু মাসে তার ধার হয়ে গেছে ১০ লক্ষ টাকা। পুলিশকে সব জানিয়ে তাঁর বিনীত অনুরোধ ছিল কোনভাবে যেন তার স্ত্রীকে রাজি করিয়ে তাকে সংসারের ফিরে যেতে সাহায্য করা হয়। পুলিশ চেষ্টা করেছিল মধ্যস্থতা করার কিন্তু ওই ব্যক্তির স্ত্রী সবটা জেনে স্বামীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এমন স্বামীর সাথে তিনি আর সংসার করবেন না।