স্বামীর যৌন আকাঙ্খা উভকামি বা বাই সেক্সচুয়াল! ওই ব্যক্তি অন্য পুরুষ সঙ্গীকে নিয়েই তার স্ত্রীর সাথে থাকতেরণ৷ তার স্বামীর সাথে এবং আরও একজন পুরুষের সাথে এক বিছানায় থাকার কারণে নির্মম অত্যাচার চলতো স্ত্রীয়ের উপর! ওই মহিলার স্বামীর পুরুষ সঙ্গীর সাথে সঙ্গম করতে না চাইলে চলতো অমানুষিক অত্যাচার! ওই মহিলার অভিযোগ যে যত দিন যাচ্ছিল ততই এই অত্যাচার বাড়তে থাকছিলো৷ এই অদ্ভুত ধরণের ঘটনাটি ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে। ওই মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে ভয়ানক অভিযোগ করেছেন পুলিশেট কাছে। ওই এলাকায় এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
নির্যাতিতাকে থানায় নিয়ে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের মহিলা সমিতি অভিযোগ করেছে ৷ পুলিশ জেরা শুরু করেছে তার স্বামীকে আটক করে , পুলিশ একই সঙ্গে ওই মহিলার স্বামীর পুরুষ সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, ধনঞ্জয় দাস ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি ডায়মন্ড হারবারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ফলতার দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা বছর তিরিশের এক যুবতীর সঙ্গে বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের বিয়ে হয় মাত্র ৮ মাস আগেই। তাদের মধ্যে সব কিছুই স্বাভাবিক ছিল বিয়ের পর। সে সময় ধনবেড়িয়া এলাকার শুভঙ্কর সানা নামে এক যুবককে নিজের ভাই পরিচয় দিয়েছিলেন ধনঞ্জয়। এই ব্যাপারে আপত্তি করেননি ওই মহিলাও। কিন্তু, সব কিছুর তালগোল পাকিয়ে যায় শশুরবাড়িতে বিয়ে করে আসার পরই। এক অদ্ভুত ধরণের কথা জানতে পারেন তার পেশায় শিক্ষক স্বামীর ব্যাপারে। যা জানতে পেরে তার জীবন ওলটপালট হয়ে যায়। তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী উভকামি।
তাঁর স্বামী একই বিছানায় বন্ধুকে নিয়ে তাঁকে থাকার আমন্ত্রণ জানান, অভিযোগ তাঁর। এরপরেই নির্যাতিতা প্রথমে স্থানীয় মহিলা সমিতিকে জানান। মিমাংসায় বসার আহ্বান দিলেও মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে স্বামী ধনঞ্জয় আসেননি। এরপরেই থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
সরকারি চাকুরিজীবী মহিলার দাবি, “ওঁর বন্ধুর সঙ্গেও স্বামীর পাশাপাশি এক শয্যায় রাত কাটানোর জন্য আমাকে জোর করা হত। মারধর চলত আমি প্রতিবাদ করলেই। এমনকী, মেরে পাশের হোগলার বনে পুঁতে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হত কিছু বললে।”
ইতিমধ্যেই শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে। ধর্ষণ,বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও ধনঞ্জয় স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে। এমনকী, স্ত্রীকে মানসিক রোগী পর্যন্ত বলেছেন তিনি।