বাড়ির গেটের সামনেই বসেছিল মদের আসর। সেখানে বসেই তাস খেলা এবং সাথে সাথে আড্ডা ও নিজেদের মধ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ। পারিবারিক পরিবেশে এই কাজ দিনে দিনে অসহনীয় হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বাড়ির লোকের জন্য। তাই বাড়ির সামনে বসে মদ খেতে আর খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে বারণ করেছিলেন আইনজীবী দম্পতি। কিন্তু এর উত্তরে তাদের যা জুটলো সেটা বোধহয় তারা স্বপ্নেও কল্পনা করেন নি। রীতিমতন শারীরিক নিগ্রহের শিকার হলেন নরেন্দ্র পুর থানা এলাকার বনহুগলির বাসিন্দা আইনজীবী দম্পতি। নরেন্দ্রপুর থানায় এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই স্বামী স্ত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। জানুন ঠিক কী হয়েছিল?
আক্রান্ত দম্পতি জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির গেটের সামনে জনা আটেক যুবক মিলে তাস খেলছিল। সাথে চলছিল অশ্রাব্য ভাষার প্রয়োগ। মহিলা জানান ‘আমার স্বামী আর আমি এমন করতে বারণ করি। এতেই শুরু হয়ে যায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ।” মহিলা আরো বলেন “আমার স্বামী গালাগালির প্রতিবাদ করলে বেশ কজন মিলে আমাদের বাড়িতে ঢুকে এসে আমাদের মারধর করে।” দম্পতি জানিয়েছেন দু’জনকেই শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে ও তাদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে হুমকি। মধ্য কয়েকজন যুবকের এহেন কাজে সন্ত্রস্ত ওই দম্পতি।
আক্রান্ত আইনজীবী ফয়জল আহমেদ অভিযোগ করেছেন, এই যুবকদের বারবার তাদের বাড়ির সামনে এহেন কাজ না করতে বললেও তারা শোনেনি। তাদের উপর লোহার রড, বাঁশ, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে শারীরিক নিগ্রহ চালানো হয়েছে। এই কাজে যোগ দিয়েছে কয়েকজন ক্লাবের ছিল। এই পুরো ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন সেটা নিয়ে দ্বিধা থাকছেই। বাড়ির সামনে এমন আচরণ করতে বারণ করলে কিভাবে তারা এত বেপরোয়া হয়ে ওঠার সাহস পায় সেই প্রশ্ন সকলের মনে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়! জিজ্ঞাসা সকলের।