সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে বর্তমানে এই করোনা কালে আমেরিকায় যৌন আকাঙ্খা ক্রমশ কমছে। সেখানে বলা হয়েছে, যৌনতার আগ্রহ অনেকটা কমে গিয়েছে আমেরিকার জনগনদের মধ্যে, নৈমিত্তিক যৌনতায় বিশেষ করে। ওই সমীক্ষাতে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ এও বলেছেন যে তারা প্রায় গত একবছর ধরে যৌনমিলন করেনি। গবেষকরা আমেরিকান যুবকদের যৌন অভ্যাসের ২০১১ এবং ২০১৯ সালের মধ্যে তুলনা করে ন্যাশনাল সার্ভে অফ ফ্যামিলি গ্রোথের তথ্যের ভিত্তিতে এই গবেষণাটি করেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় কম সেক্স করছে যুবকরা। তারা শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহ দেখাচ্ছেন না সঙ্গীর সঙ্গে থাকার পরও। সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে বহু বছর ধরে যৌনমিলন করেননি নারীদের অনেকেই। এখনও সঙ্গী বা বিবাহিতদের সাথে বসবাসকারী ব্যক্তিদের তুলনায় যৌনতা ছাড়াই বসবাসকারী লোকদের সংখ্যা প্রতিবেদনে বেশি। বিবাহিতদের মধ্যে সার্ভেতে অংশ নেওয়া মাত্র পাঁচ শতাংশ বলেছেন যে এই বছর যৌন সম্পর্কহীন ছিলেন তারা।
সমীক্ষায় দেখা গেছে যে লিভ-ইন সম্পর্কে যুবকদের সংখ্যা ৪০% থেকে কমে ৩২% হয়েছে ২০১১ সাল থেকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে বিয়েতে বিলম্বের কারণে বিবাহিতরা যৌন সক্রিয় বলে বিবেচিত হলেও মানুষ যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে যৌনতার ইচ্ছা কমে যায়, বিশেষ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ একজন দুই বছর বা তার বেশি সময় আগে যৌনমিলন করেছেন প্রতি চারজন আমেরিকান নারীর মধ্যে। ‘
আমেরিকার সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন তরুণদের যৌন আকাঙ্ক্ষা কম হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে। তাদের একটি গবেষণায় অনেক বিষয়ে আলোকপাত করেছেন স্কট সাউথ এবং লেই লেই। সবকিছু করোনা আবহে বদলে গেছে। যৌন জীবন নষ্ট করতে কাজ করে দীর্ঘদিন সম্পর্ক না থাকা, বিয়ে বা অন্যান্য সামাজিক রীতিনীতি থেকে দূরত্ব, সোশ্যাল মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহার, অতিরিক্ত মদ্যপান, ভিডিও গেমের প্রতি আসক্তি এবং পর্নোগ্রাফির মতো বিষয়গুলোও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাসগুলোকে আরও উৎসাহিত করা হয়েছে করোনার কারণে আইসোলেশনে থাকার ফলে। বিচ্ছিন্নভাবে বসবাসের অভ্যাসও মানুষের মধ্যে বাড়ছে। এসব বিষয় কাজ করছে তরুণদের যৌনতার আকাঙ্ক্ষা কমাতে।