পেগ্যাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পরে ফোন হ্যাকিংকে কেন্দ্র করে এখন উত্তাল গোটা দেশ। চারিদিকেই ফাঁদা রয়েছে হ্যাকিংয়ের ফাঁদ। আপনার অজান্তেই কখন যে হ্যাকারদের হাতে সব গোপন তথ্য চলে যাবে তা আপনি টেরও পাবেন না। কীভাবে কার ফোন (Smart Phone) থেকে কখন খোয়া যাবে তথ্য তা কেউ জানেন না। তাই ব্যক্তিগত তথ্য আগলাতে ব্যস্ত সকলে। কিন্তু কীভাবে?
কীভাবে বাঁচবেন হ্যাকিং থেকে? কীভাবে ফোনের তথ্য নিরাপদে থাকবে? উপায় হাতড়ে-হাতড়ে সকলের মাথায় হাত। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে ফোনের গোপনীয়তা রক্ষা করার সহজ উপায় বাতলে দিলেন এক মার্কিন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
আমেরিকার সেনেট ইনটালিজেন্স কমিটির সদস্য আংগুস কিং জানিয়েছেন, হ্যাকারদের হাতের নাগাল এড়াতে হলে দু’টি সহজ নিম মেনে চলতে হবে। তাহলেই মোবাইল থেকে তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেকটাই কমানো যাবে।
তবে তাতে তথ্য চুরি রুখে দেওয়া সম্ভব হবে না। কী সেই উপায়?নিয়ম মেনে মোবাইল সুইচ অফ ও সুইচ অন করতে হবে। ক্রমাগত অসুরক্ষিত হতে থাকা ডিজিটাল দুনিয়ায় এইটুকু কাজ আপনার স্মার্টফোনকে অনেকটা সুরক্ষিত করতে পারে। পাশাপাশিই আবার, সুরক্ষিত এই উপায় স্মার্টফোন থেকে তথ্য চুরি করতে বাধা দেবে হ্যাকারদের।
নিয়মিত ফোন রিস্টার্ট করলেই যে স্মার্টফোন থেকে হ্যাকারদের সম্পূর্ণ দূরে রাখা যাবে এমন নয়, তবে এই কাজ করলে নিঃসন্দেহে আপনার স্মার্টফোন থেকে হ্যাকারদের ডেটা চুরি করার কাজ কঠিন হবে।
কেউ যদি লাগাতার ফোন থেকে তথ্য চুরির চেষ্টা করে, ফোন অফ করে দেওয়ার ফলে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হবে। খানিকক্ষণের জন্য ফোনের তথ্য তাঁর নাগালের বাইরে চলে যাবে বলে দাবি করছে সাইবার বিশেষজ্ঞরা। ফোন অন করার পর হ্যাকারকে হ্যাকিং প্রক্রিয়া প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। যা অনেকটাই সময়সাপেক্ষ। ফলে তাঁদের পরামর্শ, ফোন হ্যাকিং আটকাতে প্রয়োজনে দিনের একবার করে স্মার্টফোন রিবুট করা।
আর এর পর থেকেই অনেকে নিয়মিতভাবে ফোন রিস্টার্ট শুরু করেছেন। স্মার্টফোনের মধ্যেই থাকে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য। তার মধ্যে রয়েছে মেসেজ, ছবি, আর্থিক লেনদেনের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এছাড়াও, লোকেশন সার্ভিস, মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার করে সহজেই যে কোনও ব্যক্তির উপরে নজরদারি করা সম্ভব।