মানুষের জীবন মুখ আর মুখোশের যেন নিজেদের মধ্যেই খেলে। কার মনের গোপনে যে কি অভিসন্ধি আছে বা কোন মানুষ যে আসলে কেমন তা বুঝে উঠতে আমাদের যেন গোটা জীবন পার হয়ে যায়। জীবনে যেমন এমন অনেক মানুষ পাওয়া যায়, যারা আমাদের শুভচিন্তক এবং উপকারী। আবার এমনও মানুষ পাওয়া যায় যারা ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে পিঠে শত্রুতার ছুরি বসতেও জানেন।
গুপ্ত শত্রু অর্থাৎ যে শত্রু আমাদের গোপনে আমাদের ক্ষতিসাধন করে। আমাদের না জানিয়ে নানান কৌশলে আমাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। সেটা অনেক সময় নিজের আত্মীয় হতে পারে যে শত্রুতা করতে পারে, যেমন ভাই, বোন ইত্যাদি নানা গুপ্ত শত্রু হতে পারে। কাছের বন্ধু কখনও কখনও অজান্তে শত্রুতা করতে পারে, প্রতিবেশী, কাজের জায়গায় সহকর্মী, স্বামী বা স্ত্রী, এমনকি শিক্ষক ছাত্র সম্পর্ক পর্যন্ত গুপ্ত ভাবে একে অপরের ক্ষতি সাধন করতে চায়। ভাল মানুষের মুখোশের আড়ালে কেউ না কেউ শত্রুতা চালিয়ে যায় কোনও না কোনও উপায়ে। কিভাবে চেনা যাবে এই ধরনের গোপন শত্রুদের ? জেনে নিন এই বিষয়ে জ্যোতিষ শাস্ত্র কি কথা বলছে।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন মানুষের উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু আপনি এদের কিভাবে চিনবেন? বা আপনার জীবনেও কি আছে এই ধরনের শত্রুর উপস্থিতি? জ্যোতিষ এর মাধ্যমে আপনি পেয়ে যেতে পারেন উত্তর। আসুন জানি কিভাবে
গ্রহের বিচার করে সমাধান – প্রথমেই জেনে রাখা দরকার আপনার জীবনে গুপ্ত শত্রুর উপস্থিতি এক বা একাধিক হতে পারে। গুপ্ত শত্রুর উপস্থিত আছে কিনা তা খুজেঁ বার করতে হলে আমাদের জন্ম রাশিচক্রের প্রতিটি রাশি এবং ভাব বিচার জানা প্রয়োজনীয়। প্রথমে জানতে হবে গুপ্ত শত্রুর জীবনে উপস্থিতির কারণ কোন কোন গ্রহ। এই গ্রহের অবস্থানের বিচার করতে গেলে সবার প্রথমে দ্বাদশ ভাবের ওপর বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। দ্বাদশ ভাব থেকে গণনা করে দেখা হয় কোনো রাশির জাতকের গুপ্ত শত্রু আছে কিনা। একটি গুরুত্বপুর্ন কথা এই বিষয়ে জেনে রাখা দরকার, যে কোনও রাশির শুভ অশুভ বিচারের ক্ষেত্রে লগ্ন ভাব বিচার প্রয়োজনীয়। লগ্নই হল মানুষের মুখ্য প্রকৃতি। যদি কোনো রাশির জাতক জাতিকার লগ্ন, লগ্নভাব বা লগ্নপতি ইত্যাদি ক্ষমতাশালী ও শুভ গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় তাহলে কোনও গুপ্ত শত্রুই মানুষের ক্ষতি সাধন করতে পারে না। জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে দ্বাদশ ভাব ও লগ্ন ভাব বিচারের পাশাপাশি রাশির ষষ্ঠভাব ও অষ্টমভাব বিচার করা প্রয়োজন। এবং এর সেই সঙ্গে তৃতীয় ও সপ্তমভাবের বিচারও করা আবশ্যক।