সেক্স বা যৌন মিলন কথা টা কানে এলেই যেন চনমনে হয়ে ওঠে মন, শরীর দুটোই। কিন্তু অনেক সময় আমরা এই ব্যস্ততম জীবনে ভুলে যেতে থাকি যৌন চাহিদা সম্পর্কে। আজ যৌনতা না থাকলে হয়তো পৃথিবী শূন্য হয়ে যেত। বর্তমানে যৌনতা শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য নয় বরং আনন্দ উপভোগের ক্ষেত্রেও অনেকটা জায়গা দখল করে রেখেছে।
মানসিক শান্তির পাশাপাশি দরকার শারীরিক শান্তি প্রত্যেকটি সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য । সেই সম্পর্ক বেশি দিন টিকে থাকে না যৌন জীবন যদি সুখের না হয়। অনেকেই অনীহা পোষণ করেন এই যৌন জীবনের প্রতি, তাই অদূর ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।
বিশেষ করে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও যৌন মিলনে কীভাবে বেশি উপভোগ করতে পারেন বর্তমান যুগে, মিলন আরও তৃপ্তিদায়ক (অর্গাজম) হয় নারীদের কাছে- বিশেষজ্ঞরা এ নিয়েও নানা মতামত দিচ্ছেন।
যৌন মিলনে নারী এবং পুরুষ দুজনের ক্ষেত্রেই তৃপ্তি জায়গাটা একেবারেই অন্যরকম। একজন নারী যখন চরম সীমায় পৌঁছে যায় তখন সম্পূর্ণভাবে মিলন অনুভব করে । কিন্তু সময় অনেক কম লাগে চরম সীমায় পৌঁছে যেতে পুরুষদের । এখানেই আসল সমস্যা তৈরি হয়। তাই শুধুমাত্র আপনার সুখের কথা দেখলে চলবে না, সাথে আপনাকে অন্য মানুষের পরিতৃপ্তির কথাটা ভাবতে হবে। সে ঠিকমতো পরিতৃপ্ত হচ্ছে কিনা আপনার দ্বারা আপনাকেই সেই দিকে নজর দিতে হবে। বুঝবেন কিভাবে?
হার্ট বিট এসময় বেড়ে যেতে শুরু করবে,রক্ত জমবে মুখে , ভারী হয়ে যাবে নিঃশ্বাস। ঘামতেও শুরু করবেন কেউ কেউ। তবে সব চাইতে নিশ্চিত ব্যাপারটি হচ্ছে এমন একটা উত্তেজনাময় অনুভব তৈরি হবে নারীর যোনিতে – যেটা আগে অনুভব করেননি কখনও । অন্যরকমের অবর্ণনীয় আনন্দ বা সুখ পাওয়া যাবে। ভীষণ ক্লান্তি অনুভব করবেন কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই অনুভবের পর। আর যোনি শুকিয়ে আসবে যোনির পিচ্ছিল ভাব কমে গিয়ে । সে ধার গতিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে চরম শিখর আরোহনের পর (পক্ষান্তরে পুরুষের অনন্দানুভুতি স্বল্প সময়ে ধ্বসে পড়ে)। অনেক সময় লম্বা সময় নিয়ে নারী শরীরে বিরাজমান থাকে এই অবস্থা এবং এ সুখবোধ অনুভব করেন থেমে থেমে একাধিকবার মিলনকালে স্বামী কর্মঠ থাকলে ।