করোনা কালে অনেকের জীবনেই আর নির্দিষ্ট রুটিন বলে কিছু নেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে। অনেক সময়েই রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। রাত জাগলে বাড়তে পারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বিগত কয়েক বছরের পরীক্ষা জানাচ্ছে যে, হতে পারে ডায়বেটিস। বেশি রাতে শুতে যাওয়ার অভ্যাস খাওয়ার দৈনন্দিন রুটিন ঘেঁটে দেয়, ফলে স্বাস্থ্যও ভাঙতে থাকে দ্রুত। কীভাবে সুস্থ রাখবেন শরীর এই নতুন রুটিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে, জেনে নিন।
ডায়েট
অনেকেই রাত জেগে কাজ করেন অতিমারিতে। কাজের চাপে অনেক সময় ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকি আমরা খিদে পেলেই। তার বদলে স্বাস্থ্যকর ডায়েট খেতে হবে। ভালো ফ্যাট, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জল খাবেন বেশি বেশি অকারণে কফি না খেয়ে। এতে ক্লান্তি দূরে হবে, মনঃসংযোগও বাড়বে আপনার। আর খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন রাত জাগলে। তেল-মশলা, কফি জাতীয় খাবার ত্যাগ করা উচিত বিশেষ করে। এছাড়াও খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যোগ করা দরকার সুস্থ থাকতে। যেমন-
জল : শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায় বেশি পরিশ্রম করলে। এমনকী পর্যাপ্ত জলের প্রয়োজন হয় বসে কাজ করলেও। আর তাই একঘন্টা পর পর এক গ্লাস জল খান রাতে কাজ করলে।
বাদাম : ক্ষিদে পেলে কফি বা চকোলেটের পরিবর্তে কাজুবাদাম কিংবা পেস্তাবাদাম খেতে পারেন রাত জেগে কাজ করার সময়। এতে পেট ভরবে আর ভালো থাকবে শরীরও। সেই সঙ্গে ঘুমও ভালো হয়।
ফল : ফলের রস নয়, ক্ষিদে পেলে গোটা ফল খেতে পারেন রাতে কাজ করার সময়।
খেজুর ও খেজুরের গুড় : তাই রুটি খেতে পারে গুড় দিয়ে। তা না চাইলে কাজের ফাঁকে শুকনো খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ থাকে শরীরের জন্য।
পর্যাপ্ত ঘুম: রাত জাগা জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে যদি আপনি রাত জাগা সত্ত্বেও অন্তত সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নেন। দেরিতে ঘুমান বা নির্দিষ্ট সময়ে, পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ জরুরি সুস্থ থাকতে।
তাড়াতাড়ি ডিনার: খাওয়া এড়িয়ে চলুন বেশি রাতে। স্বাভাবিক কারণেই ডিনারের পরেও খিদে পেয়ে যায় রাত জাগার ফলে। হাল্কা স্ন্যাকস চলতে পারে খুব খিদে পেলে, কিন্তু রাত ৮টার পরে ভারি খাবার বিপাক-হারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যায়াম:আপনার রাত জাগার কুপ্রভাব অনেকাংশে সরিয়ে রাখতে সক্ষম দিনে সময় মতো একটু শরীরচর্চা কিন্তু ।