প্রায়শই কিশোর বয়সে অনেকের ওজন বাড়তে শুরু করে। আসলে, এই বয়সে, অনেক সময় ছেলে মেয়েরা অতিরিক্ত খাওয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় বাচ্চা বা কিশোরদের ওজন বাড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে পেট খারাপের সমস্যাও দেখা দেয়। এমন অবস্থায় খাবার খাওয়ার আগে ও পরে বমি হওয়ার সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি ছেলে মেয়েরা বারবার এই সমস্যার সন্মুখীন হয়, তাহলে তা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। তবে এর জন্য বাচ্চাদের বা কিশোরদের দোষারোপ না করে তাদের উচিত এই সমস্যার মূলে যাওয়া। আসলে, এর কারণটি একটি খাওয়ার ব্যাধি। তাহলে চলুন জেনে নেই ইটিং ডিজঅর্ডারের কারণ ও লক্ষণগুলো-
খাওয়ার ব্যাধির মূলে
‘ওয়েবএমডি’-এর মতে, কয়েক ধরনের খাওয়ার ব্যাধি রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান হল অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা, বুলিমিয়া নার্ভোসা এবং বিঞ্জ ইটিং। এসব কারণে বাচ্চাদের খাদ্যাভাস ও আচরণে অনেক পরিবর্তন আসে।
ইটিং ডিসঅর্ডারের লক্ষণ
ইটিং ডিজঅর্ডারের অনেক উপসর্গ রয়েছে। যদি আপনার সন্তান এক সময়ে অনেক বেশি খায় এবং অন্য সময়ে একেবারেই না খায়, তাহলে এটি খাওয়ার ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও আরও অনেক উপসর্গ রয়েছে, যা নিম্নরূপ-
ওজন বৃদ্ধি
তারা রাতে ঘুমাতে পারে না
কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যায় ভোগে
ত্বকের ফুসকুড়ি বা শুষ্ক ত্বক
দাঁতে গহ্বর
নখ ভেঙে যাওয়া এবং চুল পড়া
ইটিং ডিজঅর্ডারের চিকিত্সা
যদি আপনার শিশুও ইটিং ডিজঅর্ডারের শিকার হয়, তাহলে এর চিকিৎসার জন্য কিছু আচরণ থেরাপি এবং কিছু অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া চিকিৎসা ও সময়মতো অল্প বয়সে খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করলে শিশুদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া যায়।