আজকালকার জীবন যাত্রায় শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ। হৃদযন্ত্রের সমস্যা, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, আথ্রাইটিস, শরীরে মেদের আধিক্য, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ক্ষয় ইত্যাদি নানান রোগে আমাদের শরীর কাবু। একটা বয়সের পর শরীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে নির্ভর করতে হয় ওষুধের উপর। কিন্তু আপনাকে এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে নিয়মিত শরীরচর্চা ও সঠিক খাদ্যাভাস। শরীরকে রীতিমত সুস্থ ও সতেজ রাখতে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস বেশ কাজের , এমনটাই বলেন চিকিৎসা বিশারদরা। শরীরের বহু রোগ-সমস্যা তো দূর হবেই, পাশাপাশি কমবে অতিরিক্ত ওজন এবং শরীরও থাকবে নিরোগ।
হাঁটলে যে শরীরের উপকার হয় এতে কোনো সন্দেহ নেই। হাঁটলে হৃদযন্ত্রের প্রচুর উন্নতি হয়, কমে যায় অনেকটা ওজনও। কিন্তু দৈনিক হাঁটতে হবে কতটা? সেই বিষয়ে জানিয়েছে সাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণা জানাচ্ছে, রোজ কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা শরীরের পক্ষে ভালো। এছাড়া যদি হাঁটতে অসুবিধে না হয় বা ভালো লাগে তবে এই হাঁটা-হাঁটির সময়টা ১ ঘণ্টা পর্যন্তও বাড়ানো যেতে পারে। আর যারা খুব বেশি সময় হাঁটতে পারে না তারা ৪০ মিনিট হাঁটার বদলে ১০ মিনিটের একটি বিরতি নিতে পারেন। এমনকি সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট প্রতি সপ্তাহে হাঁটলেও শরীর থাকবে সুস্থ।
কখন হাঁটা সব চেয়ে ভালো?
সকাল ও বিকেলের সময় হচ্ছে হাঁটার সবচেয়ে ভালো সময়। হাঁটার সময় অনেকেই এই নিয়ে দ্বিধায় থাকেন যে হাঁটার গতি কেমন হওয়া উচিৎ। তবে হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট তেমন কোনো গতি নেই। প্রথমে আস্তে আস্তে হাঁটা শুরু করার পর ক্রমশ গতি বাড়াবেন। শরীরের ক্ষমতা অনুযায়ী যতোটুকু জোরে পারা যায় ততটুকুই হাঁটার গতি বাড়াতে হবে। ঘুম থেকে উঠে পরেই হাঁটতে যাওয়া ঠিক নয়। ঘুম থেকে ওঠার পরে অন্তত ৩০ মিনিট পর হাঁটতে বের হওয়া উচিত। আর কারও যদি হাতে সময় কম থাকে , সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে তাহলে ঘুম থেকে একটু আগে ওঠে হাঁটতে যাওয়ার অভ্যাস করুন।
তবে শরীর খারাপ থাকলে কখনোই জোর করে হাঁটা উচিত নয়। হার্টের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীরা কখনো সকালে হাঁটবেন না। কারণ হার্টের রোগীরা সকাল বেলা হাঁটলে হার্ট অ্যাটক হওয়ার সম্ভবনা থাকে।