তীব্র অস্বস্তিকর মিলনের পর বীর্যপাত করে সুখ না পাওয়া। প্রায় সব পুরুষই কৈশোর থেকে প্রৌঢ়ত্বের দোরগোড়ার কোনও না কোনও সময় বীর্যের বিচিত্র সমস্যায় উদ্বিগ্ন হন। সমস্যা গুরু না হলেও গম্ভীর বটে সব সময়। কারণ বীর্যপাত, শুধু পিতৃত্বে বাধা দেয় না শুক্রাণুর সমস্যা। পুরুষ মানসিক ও শারীরিক অস্থিরতায় ভোগে সময়মতো সঠিক ক্ষরণ না হলে । বেশ কিছু অসুখও একইসঙ্গে বীর্যের লক্ষণ দেখে ধরা পড়ে।
সুস্থ থাকতে কতবার বীর্যপাত করা উচিত সপ্তাহে? এই প্রশ্ন জাগে বহু পুরুষের মনেই। প্রতিদিনই করতে পারেন সহবাস বা মৈথুনের মাধ্যমে। তবে যাঁরা রোজ বা তিন-চারদিন করেন সপ্তাহে একদিন করার তুলনায় তাঁদের শরীর বেশি ভাল থাকে। ৪০-৪৫ বছর বয়সের পর যৌন চাহিদা বা বীর্যপাত কমতে থাকে ২০ বছরের পরেই সহবাস শুরু করলে। ৩০-এর পর থেকে যাঁরা সহবাস করেন আরও বেশি বয়স পর্যন্ত হয় তাঁদের ক্ষমতা। তবে বয়সের তেমন কোনও সম্পর্ক নেই বীর্যপাতের সঙ্গে।
বীর্যপাত মিলনের কতক্ষণের মধ্যে হওয়া স্বাভাবিক তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। অনেকে ভাবেন, সব ঠিকঠাক নেই আধ ঘণ্টা না হলে। শীঘ্রপতনের আশঙ্কায় কুণ্ঠিত বোধ করেন। কিন্তু আসলে দু’ থেকে সাত মিনিটে বীর্যপাত হওয়া স্বাভাবিক চরম মুহূর্তে পৌঁছনোর পর। এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হলে তাকে বলে প্রিম্যাচিওর ইজ্যাকিউলেশন। এটা একটা অসুখ।
শরীর নিঃসৃত ধাতুটিতে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, জিঙ্ক, সাইট্রিক অ্যাসিড, ফ্রুকটোজ, ল্যাকটিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম। টেস্টিস, প্রস্টেট গ্রন্থি, সেমিনাল অ্যাসাইকল, বালবোইউরেথ্রাল গ্রন্থি থেকে বীর্য তৈরি হয়।
সুস্থ মানুষের বীর্যের রং সাদা। কখনও ধূসর-সাদা। তবে পঞ্চাশোর্ধ্বদের বীর্যের রং বয়সজনিত অনেক সময় হালকা হলদেটে হয়। তাতে চিন্তার কিছু নেই। রং হলদেটে হতে পারে অতিরিক্ত রসুন খেলেও। সাবধান তবে বীর্যের রং রক্তাভ হলে। এর অর্থ বীর্যের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় একে বলে হেমাটোস্পার্মিয়া। প্রস্টেটে বায়োপসি করলে সাধারণত রক্ত বের হয় বীর্যের সঙ্গে। এছাড়া পুরুষাঙ্গের টেস্টিস, প্রস্টেটের মতো গ্রন্থিগুলিতে টিউমার বা ইনফেকশন অথবা প্রস্রাবে ইনফেকশন হলেও বীর্যের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।