ম্যাগি নুডলস। খুব সহজে রান্না করা যায় এমন একটি সুস্বাদু খাবার যা সকলের খুব প্রিয়। হালকা খিদে মেটাতে কি চটজলদি ব্রেকফাস্ট সারতে এর জুড়ি মেলা ভার। জনপ্রিয়তার নিরিখে ম্যাগি দুর্দান্ত সফল। ম্যাগি খেতে ভালোবাসেন না এমন লোক খুব কমই আছে। মাঝে ম্যাগি তে ব্যবহার করা মশলার উপাদান এবং গুণমান নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও সেই সমস্যার সমাধান করে আবারো সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে ম্যাগি নুডুলস।
ম্যাগির সবথেকে বড় সুবিধা হল এটা যে কেউ রান্না করতে পারে। খুব অল্প সময়ে গরম জলে ম্যাগি আর মশলা দিয়ে কয়েক মিনিট ফোটালেই তৈরী ম্যাগি। আমাদের মধ্যে বোধহয় এমন কেউ নেই যে ম্যাগির স্বাদ পায়নি। কিন্তু জানেন কি রেডিমেড নুডুলস এর নাম ম্যাগি কার নামে রাখা হয়েছে। শুধু ম্যাগি নয়, বলা যায় এই ব্যক্তি প্রি-কুকড ফুড বাজারে আনায় বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। জেনে নিন সেই ইতিহাসটা।
এই ম্যাগি নুডুলস এর নামটা এসেছে জুলিয়াস মাইকেল জোহানেস ম্যাগির নাম থেকে। কারখানায় কঠোর পরিশ্রম করা শ্রমিকদের জন্য অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলা যায় অথচ পেটও ভরাবে, পুষ্টিও দেবে এমন কোন খাবার উদ্ভাবনের চিন্তাভাবনা করছিলেন ইনি। আর সেই ভাবনা থেকেই বানিয়ে ফেলেন ম্যাগি স্যুপ আর কিছু প্রি-কুকড ফুড। সময়টা ১৮৮৬ সাল। তার এই উদ্ভাবন যথেষ্ট সাড়া ফেলে। একইভাবে এরপর জোহানেস ম্যাগি আরো কিছু খাদ্যদ্রব্য বানালেন যেগুলো দামে কম, সহজে রান্না করা যায় এবং স্বাস্থ্যকরও যেমন বুইয়ন কিউব (সবজি, মাংস, নুন, মশলা প্রভৃতি দিয়ে তৈরি)। এই প্রোডাক্ট গুলি বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এবং আস্তে আস্তে বাজারে জায়গা নিতে শুরু করে।
১৮৯৭ সালে জুলিয়াস জার্মানির সিনজেনে ‘Maggi GmbH’ নামক সংস্থার সূত্রপাত করেন। বেশ কিছু মালিক পরিবর্তনের পর ১৯৪৭ সালে ম্যাগি নেসলের সাথে মার্জ করে যায়।
ভারতে ম্যাগির প্রবেশ কিভাবে?
১৯৮২ সালে নেসলে কোম্পানি ভারতে ম্যাগি ইনস্ট্যান্ট নুডলস নিয়ে আসে। এই নুডুলসের সাথের প্রমোশনাল লাইনটাই ছিল ‘টু মিনিটস’। তবে বাকি বিশ্বে ম্যাগি যত সহজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভারতে বাজার পাওয়া তার জন্য এত সহজ হয়নি। দীর্ঘদিন ম্যাগি ভারতীয় খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি। আস্তে আস্তে 2001 সালে ম্যাগির জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বেড়ে যায়। আর বর্তমানে অল্প বয়সী কলেজ পড়ুয়া বা কর্মব্যস্ত ছেলেমেয়েদের কাছে চটজলদি খাবারের সেরা অপশন হল ম্যাগি।