প্রত্যেকের বড়ো প্রিয় ডিম, খাবার প্লেটে ডিম থাকলে যেন আর কিছু লাগবে না। বয়স নির্বিশেষে ডিম সবার পছন্দের একটি খাদ্য। অপরদিকে ডিম প্রোটিনের ভান্ডার। আবার চিকিৎসকরা রোগীর ক্ষেত্রে ডিম খেতে বলেন। ডিম পুষ্টিযুক্ত একটি উপকারী খাদ্য। ডিম কে প্রোটিনের পাওয়ার হাউস বললেও ভুল হবে না। অত্যন্ত সুষম খাদ্য ডিম, সে শিশু হোক বা বৃদ্ধ। বলা হয়ে থাকে, ‘প্রতিদিন একটি করে ডিম খান যদি সুস্থ থাকতে চান, ‘।
শুধুমাত্র একটি বা দুটি নয়, ডিমের ভিতরে পাওয়া যায় অনেক পুষ্টি, ভিটামিন এবং খনিজ। প্রোটিন, ভিটামিন A, B -6, B-12, প্রোটিন, অ্যামিনো অ্যাসিড, সেলেনিয়াম এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে ডিমে। একজন ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এগুলি।
দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং খিদে কমায় ডিম। ডিমসিদ্ধ একটা সুস্বাদু টিফিন স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে অফিসের টিফিনে। তাই ডায়েটে ডিম রাখা জরুরি ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য । অনেকেই অনেকক্ষণ পরে খান সিদ্ধ ডিম। কিন্তু অনেকেই অনেকক্ষণ পরে খান ডিমসিদ্ধ হওয়ার, আসলে ডিমসিদ্ধ কতক্ষন পর তা খাওয়া যেতে পারে তা জানা অত্যন্ত জরুরী। অনেকেই অনেক পরে খান ডিম সিদ্ধ করার । আবার ডিম দেওয়া হয় দোকানে সিদ্ধ করার কতক্ষন পরে তাও বোঝা যায় না।
ডিম সিদ্ধ করার পর ফ্রিজে রাখা, সংরক্ষন করার সবচেয়ে ভালো উপায়। একটি পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে একসপ্তাহ ঠিক থাকে বলে জানানো হয়েছে। এরপর খারাপ হতে শুরু করে ডিম। তবে টাটকা খাওয়া উচিত খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম।
দু’ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ছাড়া সাধারণ তাপমাত্রায় ডিম সিদ্ধ করার পর । অর্থাৎ আর না খাওয়াই ভালো তার পরে। ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪.৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে সব ধরনের ডিম। আর খোসা ছাড়ানো সিদ্ধ ডিম কোনোভাবেই ফ্রিজারে সংরক্ষণ করা যায় না অবশ্যই মনে রাখতে হবে।